Mobile Game

মোবাইলে গেম খেলতে খেলতে আচমকাই মৃত্যু কিশোরের! লখনউয়ের ঘটনায় হুলস্থুল

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম বিবেক। মোবাইল গেমে আসক্ত ছিল সে। বুধবার মোবাইলে গেম খেলছিল। বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যেরাও ছিলেন। কিছু ক্ষণ পরে এসে বিবেকের বোন দেখে মোবাইল পড়ে রয়েছে বিছানায়, গেম চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৫৭
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মোবাইলে একটি জনপ্রিয় গেম খেলছিল বছর তেরোর এক কিশোর। গেম খেলার সময়ে আচমকা মৃত্যু হল তাঁর। আর এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম বিবেক। মোবাইল গেমে আসক্ত ছিল সে। বুধবার মোবাইলে গেম খেলছিল। বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যেরাও ছিলেন। কিছু ক্ষণ পরে এসে বিবেকের বোন দেখে মোবাইল পড়ে রয়েছে বিছানায়, গেম চলছে। কিন্তু ঘুমোচ্ছে বিবেক। দাদা ঘুমোচ্ছে দেখে তাকে আর বিরক্ত করতে চায়নি বোন। কিন্তু অনেক সময় কেটে যাওয়ার পরেও যখন বিবেকের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন বাড়ির লোকের সন্দেহ হয়। বিবেককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তবে কী কারণে বিবেকের মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিবেক যে হেতু মোবাইল গেমে আসক্ত ছিল, তাই এই বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, এটি ‘সাজেন গেমার ডেথ’-এর ঘটনা। এই ‘সাডেন গেমার ডেথ’ কী? বেশ কয়েকটি তথ্য বলছে, বিশ্বে এ রকম মৃত্যু আগেও হয়েছে। মোবাইল গেমারদের আচমকা মৃত্যু ঘটেছে।

Advertisement

আমেরিকার ন্যাশনাল হেল্‌থ ইনস্টিটিউট (এনআইএইচ)-এর ন্যাশনাল লাইব্রেরি মেডিসিন (এনএলএম)-এর পোর্টালে একটি গবেষণা আপলোড করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বে এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। যে মৃত্যুর সঙ্গে মোবাইল গেমের সম্পর্ক রয়েছে। যেটির ‘ইন্টারনেট গেমিং ডিঅর্ডার’-এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, মোবাইল গেম খেলতে খেলতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। গোটা বিশ্বে যার সংখ্যা ২৪। গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, ২০০২ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পুরুষ। বয়স ১১ থেকে ৪০-এর মধ্যে। আর দাবি করা হয়েছে, এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ঘটনা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার। যেমন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া। ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মৃতদের মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যুর কারণ হিসাবে উঠে এসেছে পালমোনারি এম্বলিজ়ম, দু’জনের মৃত্যু হয়েছে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে, আর তৃতীয় কারণ হিসাবে উঠে এসেছে কার্ডিয়াক এরিথমিয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement