Kota Student Missing

কোটা থেকে উধাও! পাঁচ মাস পর কেরল থেকে উদ্ধার, বাবা-মাকে দেখে কী যুক্তি দিল কিশোর?

কোটার হস্টেলে থেকে জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল কিশোর। গত ৫ অক্টোবর হঠাৎই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। বাবা, মা অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪ ০৭:৫৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কোটায় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য পড়তে গিয়েছিল কিশোর। হঠাৎ সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পাঁচ মাস ধরে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ অবশেষে তাকে উদ্ধার করেছে কেরল থেকে। পশ্চিম থেকে একেবারে দক্ষিণের রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিল ১৭ বছরের ওই কিশোর।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোর বিহারের বাসিন্দা। সেখান থেকে রাজস্থানের কোটায় তাকে পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় ভাল ফল করে উচ্চশিক্ষার জন্য এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু গত অক্টোবর মাসে আচমকা উধাও হয়ে যায় কিশোর। বাবা, মা অনেক খুঁজেও তাকে পাননি। পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

কোটার বিজ্ঞাননগরের একটি হস্টেলে থাকত ওই কিশোর। গত ৯ নভেম্বর তার বাবা, মা সেখানকার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তাঁরা জানান, ৫ অক্টোবর থেকে হস্টেলে তাঁদের ছেলেকে দেখা যাচ্ছে না। এর পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কিশোরের কাছে যে মোবাইল ফোনটি ছিল, সে তার নম্বর বদলে ফেলেছে। সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টও গিয়েছে বদলে। কিছু দিন আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোটা পুলিশের একটি দল পৌঁছয় কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে। সেখানকার শিবগিরি এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ওই কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ।

বাবা, মায়ের সামনে অবশ্য কিশোর জানিয়েছে, সে নিজের ইচ্ছায় কোটা ছেড়ে চলে এসেছিল। জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় সে বসতে চায় না বলে জানিয়েছে। বদলে সে চায় অনলাইনে ব্যবসা করতে। যে হেতু তার সমুদ্র পছন্দ, তাই কোটা থেকে কেরলে সমুদ্রের ধারে গিয়ে থাকতে শুরু করেছিল সে।

কিশোরকে প্রথমে শিশুসুরক্ষা কমিটির কাছে পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেখানে তার কাউন্সেলিং হয়। তার পর তাকে তুলে দেওয়া হয় অভিভাবকদের হাতে।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ছাত্র এবং ছাত্রী কোটায় পড়তে যায়। জয়েন্ট এন্ট্রান্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি হয় কোটায়। কিন্তু পড়াশোনার চাপে সেখানে ছাত্রছাত্রীরা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও তৈরি হয়। চলতি বছরেই কোটায় ছ’জন ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছে। ২০২৩ সালে সংখ্যাটি ছিল ২৯।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন