জম্মু ও কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে গ্রেফতার পাকিস্তানি। —প্রতীকী চিত্র।
পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। জম্মু ও কাশ্মীরের আরএস পুরা সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ধৃতের নাম পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি একজন পাকিস্তানি নাগরিক। চলতি মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আরএস পুরা সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশকারী কোনও পাকিস্তানিকে পাকড়াও করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরে নজরদারি আরও বৃদ্ধি করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকাতেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। গত ৮ সেপ্টেম্বরও আরএস পুরা সেক্টর থেকে এক পাকিস্তানিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনিও পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। এ বার ফের সেই আরএস পুরা থেকেই আরও এক পাকিস্তানিকে গ্রেফতার করা হল।
বিএসএফ আধিকারিকেরা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, সীমান্তে টহল দেওয়ার সময়েই ওই ব্যক্তির গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় জওয়ানদের। তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতেই তাঁকে ধরে ফেলা হয়। যদিও পরে বাহিনী সূত্রে জানা যায়, ধৃতের থেকে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। বর্তমানে দেশের একাধিক নিরাপত্তা সংস্থা তাঁকে জেরা করছে। কেন তিনি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকেরা।
গত মাসেও জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে এক দল লোক পাকিস্তান থেকে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে। সীমান্তে টহলদারির সময় বিষয়টি নজরে আসে বিএসএফের। তৎক্ষণাৎ ওই পাকিস্তানি নাগরিকদের পথ আটকায় তারা। বাকিরা পালিয়ে গেলেও এক পাকিস্তানি নাগরিক অনেকটা এগিয়ে আসেন। অভিযোগ, তিনি গুলিও চালান। পাল্টা জবাবে বিএসএফের গুলিতে তিনি আহত হন। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই ধৃতের।
তার পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের সরগোদার এক বাসিন্দা ভারতে প্রবেশের চেষ্টায় ধরা পড়েছিলেন এক অনুপ্রবেশকারী। সিরাজ খান নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে জওয়ানদের গুলির লড়াইও হয়েছিল। শেষে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনার পরে এ বার ফের আরএস পুরা সেক্টরে ধরা পড়লেন এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী।