CBI

আহমেদ থেকে বঢরা, চাপ সিবিআই-ইডির 

এর আগে ইউপিএ সরকারের আমলে একাধিক অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তিতে রবার্টের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সঞ্জয় ভণ্ডারীর নাম উঠে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২০ ০৫:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

আহমেদ পটেলকে ইডি-র লাগাতার জেরার পরেও কংগ্রেসের নীরবতা দেখে দলের অন্দরমহলে প্রশ্ন উঠছিল, সনিয়া গাঁধীর ডান হাতের পাশে কি ‘টিম রাহুল’ নেই?

Advertisement

এই প্রশ্নের উত্তর মিলতে না মিলতেই আজ গাঁধী পরিবারের জামাই রবার্ট বঢরার ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় ভণ্ডারীর বিরুদ্ধে সিবিআই নতুন মামলা করল।

ইউপিএ জমানায় ২০০৭-এ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসি-র সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার চুক্তি হয়। এই চুক্তিতে ‘কনসালটেন্সি ফি’ হিসেবে রবার্ট ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় ভণ্ডারী ৫০ লক্ষ ডলার পেয়েছিলেন। সিবিআইয়ের সন্দেহ, ভণ্ডারী আসলে ওই টাকা নিয়েছিলেন রবার্টের হয়ে। ওই টাকায় লন্ডনে রবার্টের বেনামি সম্পত্তি কেনা হয়।

Advertisement

এর আগে ইউপিএ সরকারের আমলে একাধিক অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তিতে রবার্টের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সঞ্জয় ভণ্ডারীর নাম উঠে এসেছে। দেশ ছেড়ে পলাতক ভণ্ডারী এখন ব্রিটেনে বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। আজ সিবিআই ওএনজিসি-স্যামসাং চুক্তিতে দুর্নীতির তদন্তে ভণ্ডারী, তাঁর মালিকানাধীন দুবাইয়ের সংস্থা স্যানটেক ইন্টারন্যাশনাল, স্যামসাং ইঞ্জিনিয়ারিং, সে সময় স্যামসাং ও ওএনজিসি-র উচ্চপদস্থ কর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

সিবিআই সূত্রের খবর, ওএনজিসি গুজরাতের দাহেজে একটি পেট্রো-রসায়ন প্রকল্প তৈরির জন্য স্যামসাং ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সঙ্গে চুক্তি সই করে। এই বরাত পেতে স্যামসাং সঞ্জয় ভণ্ডারীর সংস্থা স্যানটেক-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। বরাত পাওয়ার পরে স্যামসাং ভণ্ডারীকে প্রায় ৫০ লক্ষ ডলার দেয়। এর পরেই ভণ্ডারীর সংস্থা লন্ডনের ব্রায়ানস্টন স্কোয়ারে একটি বাড়ি কেনে। ওই বাড়ি কেনা হয় ভোর্টেক্সে প্রাইভেট লিমিটেডের নামে। পরে ভোর্টেক্স সংস্থাটি রবার্টের আর এক ঘনিষ্ঠ সি থাম্পির স্কাইলাইট সংস্থা কিনে নেয়। সিবিআই কর্তাদের সন্দেহ, এই পুরো লেনদেনই আসলে রবার্টের নিয়ন্ত্রণে হয়েছে। তিনি নিজে আড়ালে থেকে, অন্য সংস্থার নামে টাকা নিয়েছেন। রবার্টকে ইডি আগেই ভণ্ডারীর সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে জেরা করেছে। কিন্তু রবার্ট সমস্তটাই অস্বীকার করেছিলেন।

গত শনিবার ও মঙ্গলবার ইডি গুজরাতের স্টার্লিং বায়োটেক সংস্থার চেতন ও নীতিন সন্দেশেরা ভাইদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে আহমেদ পটেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। কিন্তু কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে এখনও কেউ জোর গলায় আহমেদের পাশে দাঁড়াননি। নবীন বনাম প্রবীণের লড়াইয়ে আহমেদ ও রাহুল ভিন্ন মেরুতে। রাহুল গাঁধীর ঘনিষ্ঠ রণদীপ সুরজেওয়ালা কংগ্রেসের যোগাযোগ দফতরের দায়িত্বে। সেই কারণেই এই নীরবতা কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। আজ সিবিআই রবার্টের ঘনিষ্ঠ ভণ্ডারীর বিরুদ্ধে নতুন মামলার পরেও কংগ্রেসের কেউ মুখ খোলেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement