Odisha Train Accident

করমণ্ডল দুর্ঘটনায় নয়া মোড়, সিগন্যালের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়রের বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই

সিবিআইয়ের একটি দল সোমবার করমণ্ডল দুর্ঘটনার তদন্তের স্বার্থে বালেশ্বরে গিয়েছিল। রেলের এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়রকে বাড়িতে না পেয়ে তারা বাড়িটি সিল করে দিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

বালেশ্বর শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৩ ১৩:১০
Share:

বালেশ্বরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ফাইল চিত্র।

করমণ্ডল দুর্ঘটনার তদন্তে নতুন মোড়। বালেশ্বরের সোরো সেকশনের রেলের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই। ওই যুবক এবং তাঁর পরিবার বালেশ্বরেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর থেকেই তাঁরা তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন।

Advertisement

রেলের ওই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের নাম আমির খান। তিনি সোরো সেকশনে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে খবর। সোমবার তাঁর বাড়িতে তাঁকে খুঁজতে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কিন্তু বাড়িটি তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল। ফলে বাড়ি সিল করে দিয়ে আসে সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই বাড়ির উপর তারা আলাদা করে নজর রেখেছে।

করমণ্ডল দুর্ঘটনার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর রেলের একাধিক কর্মীকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই সময় এই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়রকেও এক বার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তবে তাঁকে কোথায় ডাকা হয়েছিল, তা জানানো হয়নি।

Advertisement

গত ১৬ জুন সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলটি বালেশ্বর ছেড়ে চলে যায়। তার পর আবার আচমকা সোমবার বালেশ্বরে আসেন গোয়েন্দারা। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়রের বাড়িটি তখনই সিল করে দেওয়া হয়। এই যুবকের খোঁজেই সিবিআই ফিরে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে না পেয়ে বাড়ি সিল করা হয়েছে।

সিবিআইয়ের দলটি এর পর বাহানগা বাজারের স্টেশন মাস্টারের বাড়িতে যায়। তাঁকেও দুর্ঘটনা সংক্রান্ত কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর।

যদিও একে তদন্তের অংশ হিসাবেই দেখছে রেল। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ‘নিখোঁজ’, এ কথা তারা মানতে রাজি নয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সিপিআরও আদিত্য কুমার চৌধরি বলেছেন, ‘‘কোনও কোনও রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, বাহানগার এক কর্মী নিখোঁজ। এই তথ্য সঠিক নয়। সব কর্মীই উপস্থিত এবং তাঁরা সকলে তদন্তের অংশ। সকলে তদন্তে সহযোগিতা করছেন।’’

গত ২ জুন ওড়িশার বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস, ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। তীব্র গতিতে চলতে চলতে হঠাৎই লুপ লাইনে ঢুকে গিয়ে মালগাড়িকে ধাক্কা মেরে উল্টে গিয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের ইঞ্জিনটি উঠে গিয়েছিল মালগাড়ির একটি কামরার উপরে। এই ঘটনায় ২৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি।

প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, সিগন্যালের ত্রুটিতেই এমন দুর্ঘটনা হয়েছে। কিন্তু পরে রেলের তরফেও জানানো হয়, এ ক্ষেত্রে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রেলমন্ত্রী নিজে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কোনও ব্যক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়া শুধু প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে এত বড় দুর্ঘটনা সম্ভব নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন