অনিল অম্বানী। — ফাইল চিত্র।
ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় অনিল অম্বানির সংস্থা রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন (আরকম) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই। এই সংস্থা এবং সংস্থার কর্তার (প্রোমোটার ডিরেক্টর) সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন বেশ কিছু জায়গায় শনিবার সকালে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মুম্বইয়ে চলেছে তল্লাশি। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জালিয়াতির কারণে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০০০ কোটি টাকা হারিয়েছে।
গত ১৩ জুন দেনাগ্রস্ত আরকম-এর ঋণ অ্যাকাউন্টকে স্টেট ব্যাঙ্ক ‘প্রতারক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সংস্থার কর্তা অনিলের নাম এই সংক্রান্ত রিপোর্টে যুক্ত করেছে তারা। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নীতি অনুসারে এই কাজ করেছে তারা। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী গত মাসে লোকসভায় জানান, গত ২৪ জুন ব্যাঙ্ক আরবিআই-কে প্রতারণার বিষয়টি জানিয়েছে। এই বিষয়ে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিবিআইয়ের সঙ্গে।
আরবিআইয়ের নীতি অনুসারে, ব্যাঙ্ক কোনও সংস্থার অ্যাকাউন্টকে ‘প্রতারক’ ঘোষণা করলে তা ঋণদাতাকে ২১ দিনের মধ্যে আরবিআইকে জানাতে হবে। সিবিআই বা পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানাতে হবে।
দিন কয়েক আগে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন অনিল। দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অনিলের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে মোট ১৭,০০০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে ৩০০০ কোটি টাকার ঋণ ইয়েস ব্যাঙ্কের। ইডি সূত্রের খবর, অনিলের একাধিক সংস্থার মধ্যে ওই ঋণ বণ্টন হয়েছিল। তার আগে ব্যাঙ্কটির প্রোমোটারদের নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন সংস্থার কাছে টাকা পৌঁছোয়। ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রে বহু নিয়ম লঙ্ঘনও করেছিল বেসরকারি ব্যাঙ্কটি। ফলে সেই ঋণের ক্ষেত্রে ঘুষ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। গত ২৪ জুলাই অনিলের সংস্থার একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়েছিল ইডি। মুম্বইয়ে অনিলের গোষ্ঠীভুক্ত বিভিন্ন সংস্থা এবং তাঁর সঙ্গে যোগ আছে এমন আরও কিছু মিলিয়ে মোট ৫০টি সংস্থার ৩৫টিরও বেশি দফতরে হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।
এ বার সিবিআই তল্লাশি চালাল আরকম এবং অনিলের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন জায়গায়। সূত্রে খবর, শনিবার সকালে অনিলের ‘সিউইন্ড’ বাসভবনে পৌঁছেছেন ইডির আধিকারিকেরা।