শোভাযাত্রায় ‘রীতি’ মেনে ছোড়া গুলি কেড়ে নিল দু’টি প্রাণ

বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা যাচ্ছে। মেয়েটি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তারিয়ে তারিয়ে তা দেখছিল। আলো, লোকজন, বাজি, বাজনা, হইহল্লা, চিত্কার, নাচ, গান, সুদৃশ্য পোশাক— বরযাত্রী চলেছে। সব কিছু ছাপিয়ে মাঝে মাঝে শোনা যাচ্ছে গুলির আওয়াজ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৬ ১৪:০১
Share:

বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা যাচ্ছে। মেয়েটি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তারিয়ে তারিয়ে তা দেখছিল। আলো, লোকজন, বাজি, বাজনা, হইহল্লা, চিত্কার, নাচ, গান, সুদৃশ্য পোশাক— বরযাত্রী চলেছে। সব কিছু ছাপিয়ে মাঝে মাঝে শোনা যাচ্ছে গুলির আওয়াজ। শোভাযাত্রা থেকেই ছোড়া সেই গুলি আসলে আনন্দ-উচ্ছ্বাসেরই অংশ। বনেদি বিয়ের শোভাযাত্রায় বন্দুকবাজেরা শূন্যে গুলি চালাবেন এটাই তো রীতি। কিন্তু, আনন্দের সেই রীতিই সে রাতে কেড়ে নিল একটি প্রাণ। বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে যে মেয়েটি শোভাযাত্রা দেখছিল, শূন্যে ছোড়া একটি গুলি এসে বিঁধল তার গায়ে। বারান্দাতেই লুটিয়ে পড়ে সে। শরীরের সমস্ত স্পন্দন তত ক্ষণে কেড়ে নিয়েছে একটি আনন্দ-বুলেট। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লির মুঘলপুরীর এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিয়ের উৎসবে শূন্যে গুলি, ‘সামান্য ব্যাপার’ বললেন ডিজিপি

কিন্তু, রীতি তো কোনও এক জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। তাই দিল্লির পর দিনই একই ঘটনা ঘটল বিহারে। সন্ধের রাজপথ ভেসে যাচ্ছিল আনন্দ-উত্সবে। সেই আলো, লোকজন, বাজি, বাজনা, হইহল্লা, চিত্কার, নাচ, গান, সুদৃশ্য পোশাক— একই দৃশ্য। এবং বন্দুক থেকে ছোড়া গুলিও ছিল ওই শোভাযাত্রায়। এ বার গুলি লাগল একটি শিশুর শরীরে। শোভাযাত্রাতেই তার মায়ের সঙ্গে আনন্দ করছিল শিশুটি। হঠাত্ই ছুটে আসা গুলিটি থামিয়ে দেয় সমস্ত আনন্দ। তাকে পাশের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, তত ক্ষণে সব শেষ। একই শোভাযাত্রার অন্য কয়েকটি গুলিতে জখম হয়েছে আরও দু’জন। এই ঘটনারও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

কে বা কারা গুলি ছুড়েছিল তার সন্ধান চলছে। বন্দুকগুলোর আদৌ লাইসেন্স ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement