Child death

ছত্তীসগঢ়ের সরকারি হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চার শিশুর মৃত্যু! তদন্ত করবে সরকার

রবিবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ শিশু মারা যায় বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় প্রশাসনের পাল্টা দাবি, সোমবার ভোরে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাইপুর (ছত্তীসগঢ়) শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:০১
Share:

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সঙ্গে শিশুমৃত্যু ঘটনার সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রতীকী ছবি।

ছত্তীসগঢ়ের সরকারি হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ৪ শিশুমৃত্যুর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস সিংহদেও। রবিবার মাঝরাতের পর আধ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎহীন থাকায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ শিশু মারা যায় বলে অভিযোগ। যদিও মৃতদের পরিবারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের পাল্টা দাবি, সোমবার ভোরে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। এবং বিদ্যুৎবিভ্রাটের জেরে তারা মারা যায়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ছত্তীসগঢ়ের সুরগুজা জেলার অম্বিকাপুরে একটি সরকারি হাসপাতালে স্পেশাল নিওনাটাল কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ)-এ চিকিৎসাধীন ছিল গুরুতর অসুস্থ ওই শিশুরা। অভিযোগ, মাঝরাতের পর বিদ্যুৎ বিভ্রাটে হাসপাতালের ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে যায়। যার জেরে মৃত্যু হয় শিশুদের। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে সুরগুজার জেলাশাসক কুন্দন কুমার-সহ প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, সোমবার সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সঙ্গে এই ঘটনার সম্পর্ক নেই। জেলাশাসক বলেন, ‘‘ঘটনার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এটা স্পষ্ট যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্ত ব্যবস্থা তৈরি থাকায় বিদ্যুতের সমস্যা হয়নি। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও সব ক’টি ভেন্টিলেটরও কাজ করছিল।’’

জেলাশাসকের আরও দাবি, এসএনসিইউ-তে ওই ৪ শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। সেখানে এখনও ৩০-৩৫ জন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে ভেন্টিলেশনে রয়েছে দু’জন শিশু।

Advertisement

যদিও এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্যসচিবকে তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ছত্তীসগঢ়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিংহদেও। ঘটনাচক্রে, অম্বিকাপুর বিধানসভার বিধায়ক তিনি। সিংহদেও বলেন, ‘‘শিশুমৃত্যুর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকেও সবিস্তার তথ্য জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন