ডোকা লা নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ২৭-২৮ জুলাই ব্রিকস গোষ্ঠীর সম্মেলনে যোগ দিতে বেজিং যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই বৈঠকের মাধ্যমে কূটনৈতিক তাপমাত্রা কমানোর কাজ শুরু করেছে ভারত। আজ চিনও বাণিজ্যের মোড়কে সদর্থক বার্তা দিল। চিনের সরকারি মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমস-এর একটি নিবন্ধে নয়াদিল্লির কাছে বাণিজ্যিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে। সাউথ ব্লককে বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে, ডোকা লা সীমান্তের উত্তাপ ভারত-চিন বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষতি করছে।
এর মধ্যেই সাউথ ব্লকের রক্তচাপ বাড়িয়ে বুধবারই দিল্লিতে চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছেন পাক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত। বৃহস্পতিবার ভারতে নিযুক্ত ভুটানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। দিল্লিতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত লুও ঝাওহুইয়ের সঙ্গে বাসিতের বৈঠকে ডোকা লা নিয়ে কথা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, চাণক্যপুরীর মাটিতে চিন-পাকিস্তান কোনও নয়া নকশা তৈরি করছে কি না, সে দিকেও নজর রাখছে দিল্লি। কারণ এই ডোকা লা-র পরিস্থিতিতেই চিন হুমকি দিয়েছিল, পাক সীমান্ত ব্যবহার করে তারা সেনা ঢোকাবে ভারতে।
এক মাস ধরে সীমান্তে ডোকা লা-য় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও চিনের সেনা। বৃহস্পতিবারই ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ রাজ্যসভায় বলেছিলেন, চিন একতরফা ভাবে ওই এলাকার স্থিতাবস্থা নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছে। সুষমার দাবি, ডোকা লা নিয়ে সব দেশই দিল্লির পাশে দাঁডি়য়েছে। এই বক্তব্যের জন্য গ্লোবাল টাইমসে সুষমার সমালোচনা করা হয়েছে। চিনা সরকারি মুখপাত্রের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘সংসদে অসত্য বলছেন সুষমা। আসল ঘটনা হল, ভারতই চিনের মাটিতে ঢুকে পড়েছে। অন্য কোনও দেশই ভারতের এই আগ্রাসনকে সমর্থন করবে না।’