এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্কুলে খেলতে খেলতে আচমকা মাটিতে পড়ে যায় নয়ডার ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারায় সে। ওই অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। কী ভাবে ওই শিশুর মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা। তবে পরিবার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্কুলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ওই ছাত্রী। শিক্ষকেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরই শোরগোল পড়ে। মৃত শিশুর পরিবারের অভিযোগ, তারা যখন শেষ বার ওই ছাত্রীকে দেখেছিল, তখনও সুস্থই ছিল সে। আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্কুল কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি। শুধু তা-ই নয়, মৃত ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কোনও অনিয়মের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হতে পারে। ওই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মৃতের মায়ের দাবি, ‘‘আমাকে ফোন করে হাসপাতালে আসার জন্য বলা হয়। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে মারা গিয়েছে। আমি এখনও বুঝতে পারছি না কী হয়েছে! আমি জানতে চাই যে কী হয়েছিল। কোনও অবহেলা হয়েছিল কি না জানতে চাই। আমরা চাই স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হোক।’’ যদিও পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রিন্সিপালের দাবি, যখনই ওই শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে, তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা সকলের সঙ্গে সহযোগিতা করছি। ওই ছাত্রীর মা আমাদের কাছে যখন সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান, তার আগেই সব ভিডিয়ো পুলিশ সংগ্রহ করে নিয়ে যায় তদন্তের স্বার্থে। তাই আমরা দেখাতে পারিনি।’’