জাতিভেদে ক্লাস ভাগ বিহারের স্কুলে! গোটা ব্যবস্থা পাল্টে ফেলতে নির্দেশ বিডিও-র

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কৃষ্ণকুমার বর্মাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। স্কুল-কর্মীদের দাবি, রেজিস্ট্রার ঠিক রাখার জন্য এই ব্যবস্থা।

Advertisement

দিবাকর রায়

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিহারে এক স্কুলে জাতি অনুযায়ী ছাত্রদের বসানোর অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব চম্পারণের কল্যাণপুর ব্লকের তেনুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। নবম শ্রেণিতে ‘এ’ থেকে ‘এফ’ সাতটি সেকশন তৈরি করা হয়েছে যাতে বিভিন্ন জাতি অনুযায়ী ছাত্রদের আলাদা বসানো যায়। একই ব্যবস্থা দশম শ্রেণিতেও। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়েরা।

Advertisement

প্রধান শিক্ষক কমলেশ কুমার এ নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কৃষ্ণকুমার বর্মাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। স্কুল-কর্মীদের দাবি, রেজিস্ট্রার ঠিক রাখার জন্য এই ব্যবস্থা।

স্কুল প্রশাসনের বক্তব্য, সরকারের তরফে ‘স্কাইপ অন ড্রেস সাইকেল’ জাতিগত তালিকা চেয়েছে। সেই তথ্য পেতে সুবিধা হবে বলেই অনগ্রসর, অতি-অনগ্রসর, তফসিলি জাতি, সাধারণ জাতি— এই রকম ভাবে ভাগ করা হয়েছে সেকশন। কোন জাতির ছাত্রেরা নিয়মিত আসে ও কারা আসে না তা নিয়েও আলাদা খাতা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘নারেগা’-যোদ্ধার লড়াই ‘চক্রান্তের’ বিরুদ্ধেও

আরও পড়ুন: চান না সর্বানন্দ, ধীরে চলো নাগরিকত্ব বিলে

খবর পেয়ে কল্যাণপুরের বিডিও স্কুলে গিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, তিন দিনের মধ্যে গোটা ব্যবস্থা পাল্টে না-ফেললে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিডিও তদন্ত করে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানও বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, ‘‘জাতিভেদ দূর করার জন্য প্রতিটি স্কুলে পড়ুয়াদের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে এ ভাবে জাতিভিত্তিক সেকশন তৈরি করে ও আলাদা বসিয়ে কী ধরনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement