Lalu Prasad Yadav Daughter Controversy

‘কন্যা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন আর উনি বসে বসে দেখলেন’! লালুকে খোঁচা কোণঠাসা আরজেডি নেতার

রোহিণীর পাশে দাঁড়িয়েছেন লালুর জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপ যাদব। এ বার রোহিণীর পাশে দাঁড়ালেন আরজেডির প্রাক্তন সাংসদ শিবানন্দ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:২৫
Share:

(বাঁ দিকে) রোহিণী আচার্য। লালুপ্রসাদ যাদব (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

বাড়ি ছেড়েছেন। ছেড়েছেন রাজনীতিও। সে কথা ঘোষণা করে দেশও ছেড়ে চলে গিয়েছেন রোহিণী আচার্য। যখন তিনি ভাই তেজস্বী যাদব এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের দিকে আঙুল তুলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন বাবা লালুপ্রসাদ যাদব কী করছিলেন? এই প্রশ্নই তুলেছেন আরজেডির প্রাক্তন সহ-সভাপতি শিবানন্দ তিওয়ারি। তিনি আঙুল তুলেছেন আরজেডির প্রধান লালুর দিকেই। ঠারেঠোরে পাশে দাঁড়িয়েছেন রোহিণীর। যে ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, যাদব পরিবারের পরে এ বার কি লালুর দলেও ভাঙন?

Advertisement

বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে আরজেডির। কংগ্রেস, বাম দলগুলির সঙ্গে জোট গড়ে লড়াই করে মাত্র ২৫টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। তার পরেই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে দলের প্রধান লালুর পারিবারিক কোন্দল। যাঁর নেতৃত্বে বিহারে ভোট লড়েছে আরজেডি, সেই তেজস্বীর দিকে আঙুল তুলে কাঁদতে কাঁদতে ঘর ছেড়েছেন রোহিণী। এই রোহিণীই বছর কয়েক আগে কিডনি দিয়েছিলেন বাবাকে। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে জুতো তুলে মারতে গিয়েছিলেন তেজস্বী। দলের হারের জন্যও তাঁকেই দায়ী করেন। রোহিণীর পাশে দাঁড়িয়েছেন লালুর জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপ যাদব। এ বার রোহিণীর পাশে দাঁড়ালেন আরজেডির প্রাক্তন সাংসদ শিবানন্দ। তিনি একটি সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রশ্ন তোলেন, কেন কন্যার পাশে দাঁড়ালেন না লালু?

শিবানন্দের কথায়, ‘‘তিনি (লালু) কি কিছু দেখতে পান না? তাঁর কন্যা বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। তিনি বলছেন, তাঁর দিকে জুতো ছোড়া হয়েছে। তার পরে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেছেন। লালুপ্রসাদ এবং রাবড়ী দেবী বসে বসে দেখলেন!’’ এর পরেই দলের দিকে আঙুল তুলেছেন শিবানন্দ। তিনি বলেন, ‘‘আমি দলের (আরজেডি) সহ-সভাপতি হয়েছিলাম, কারণ তিনি (লালু) বলেছিলেন। আমি কোনও পদ নিতে প্রস্তুত ছিলাম না। সহ-সভাপতির কাজটা কী? এই দলগুলিতে তো এক জনই সব (ওয়ান ম্যান শো)।’’

Advertisement

আরজেডি নেতার আরও দাবি, বিহারে নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর বিরুদ্ধে তেজস্বীকে পথে নামার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সে জন্যই তাঁকে দলের সহ-সভাপতির পদ খোয়াতে হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement