Lalu Prasad Yadav Daughter Controversy

‘বোনের অপমান সহ্য করা যায় না, শুধু সিগন্যাল দাও বাবা’! রোহিণীর পাশে দাঁড়িয়ে তেজস্বীর উদ্দেশে তেজের প্রতাপ

তেজপ্রতাপ সমাজমাধ্যমে লেখেন, যখন থেকে তিনি শুনেছেন, বোনকে মারার জন্য জুতো তোলা হয়েছে, তাঁর মনের ব্যথা আগুনে পরিণত হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:০৭
Share:

তেজপ্রতাপ যাদব। — ফাইল চিত্র।

একে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডির ভরাডুবি। যাদব পরিবারের দোসর এখন কোন্দল। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিণী আচার্য। তিনি কয়েক বছর আগে বাবাকে কিডনি দিয়েছিলেন। এ বার সেই রোহিণীর পাশে দাঁড়ালেন দাদা তেজপ্রতাপ যাদব। আরজেডি প্রধান লালু তাঁকে আগেই ত্যাজ্য করেছিলেন। রবিবার তেজপ্রতাপ সমাজমাধ্যমে লেখেন, তাঁর সঙ্গে যা হয়েছিল, তা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু বোন রোহিণীর সঙ্গে যা হল, তা সহ্য করা যায় না। কটাক্ষ করেছেন ভাই তেজস্বী যাদবকেও, তিনি আরও লিখেছেন, বাবা লালুপ্রসাদ এক বার সঙ্কেত দিলেই পরিবারের সম্মান উদ্ধার করবেন।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তেজপ্রতাপ লেখেন, ‘‘আমার সঙ্গে যা হয়েছে, সহ্য করেছি। কিন্তু আমার বোনকে যে ভাবে আপমান করা হয়েছে, তা কোনও পরিস্থিতিতেই সহ্য করা সম্ভব নয়।’’ শনিবার বিহার ছেড়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন রোহিণী। তার আগে ভাই তেজস্বী যাদব এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের দিকে আঙুল তুলেছেন লালুকন্যা। তাঁর অভিযোগ, অপমান করে তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তেজপ্রতাপ জানান, বিহারের মানুষ এ সব সহ্য করবে না।

তেজপ্রতাপ সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘যখন থেকে শুনেছি, আমার বোনকে মারার জন্য জুতো তোলা হয়েছে, আমার মনের ব্যথা আগুনে পরিণত হয়েছে। জনগণের আবেগে যখন ধাক্কা দেওয়া হয়, তখন বোধশক্তির উপরে যে ধুলো জমে, তা উড়ে যায়। কিছু মুখ তেজস্বীর বোধশক্তিও মেঘাচ্ছন্ন করে রেখেছে।’’ এর পরিণাম ভাল হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তেজপ্রতাপ। তাঁর কথায়, ‘‘এই অন্যায়ের পরিণাম ভয়াবহ হবে। সময়ের হিসেব খুব কড়া। আরজেডির জাতীয় সভাপতি, তথা আমার বাবা, আমার রাজনৈতিক গুরু লালুপ্রসাদ যাদবকে অনুরোধ করছি, আমাকে একটা সঙ্কেত দিন। বিহারের মানুষ এই জয়চাঁদদের মাটিতে পুঁতে দেবে। এটা কোনও রাজনৈতির দলের লড়াই নয়। এটা আমার পরিবারের সম্মান, এক জন কন্যার মান, বিহারের আত্মসম্মান।’’

Advertisement

গত মে মাসে তেজপ্রতাপকে ত্যাজ্য করেন লালু। দল থেকেও বহিষ্কার করেন। লালুর বড়ছেলে তেজপ্রতাপের সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই পোস্টে নতুন সম্পর্কে প্রবেশের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। তেজপ্রতাপ যদিও দাবি করেছিলেন, তাঁর সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে।

রোহিণী সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করেন, তিনি বাড়ি ছাড়ার সময় তাঁর বাবা-মা, বোনেরা কান্নাকাটি করছিলেন। কিন্তু তিনি অসহায় ছিলেন। জোর করে তাঁকে বাপের বাড়ি ছাড়তে, পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে কোনও পোস্টেই তেজস্বী বা অন্য কারও নাম নেননি রোহিণী। শনিবার বাড়ি ছাড়ার পর প্রথম বার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিন জনকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনি। তেজস্বী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় যাদব, রমীজ় খানদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। দাবি, কেন দল হারল, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। দলে সঞ্জয়, রমীজ়দের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই কারণে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। তেজস্বীরা কেউ এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement