Flash Flood in Kathua

কিশ্তওয়াড়ের পর কাঠুয়া, জম্মু-কাশ্মীরে হড়পা বানে মৃত সাত! পর পর মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত হিমাচলও

শনিবার গভীর রাতে কাঠুয়ার জাংলোটের একটি গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। মাঝ রাতে হড়পা বান মেনে আসায় অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে পারেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৫ ১১:০২
Share:

কাঠুয়ায় চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এক্স।

জম্মু-কাশ্মীরের কিশ্তওয়াড়ের পর এ বার কাঠুয়ায় মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ভয়ঙ্কর হড়পা বান নেমে এল বসতি এলাকায়। শনিবার গভীর রাতে কাঠুয়ার জাংলোটের একটি গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। মাঝ রাতে হড়পা বান মেনে আসায় অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে পারেননি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এই দুর্যোগে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। কত জন নিখোঁজ হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে হড়পা বানে বহু বাড়ি ভেসে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

Advertisement

হড়পা বানের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীরা পৌঁছেছেন। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, যে গ্রামে হড়পা বান নেমেছে, সেই গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। পুলিশ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ওই গ্রামে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। জোরকদমে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।

গত কয়েক দিন আগে কিশ্তওয়াড়ের চশোতী গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ভয়ানক হড়পা বান নেমে আসে। গ্রাম পুরো তছনছ হয়ে গিয়েছে। ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিোঁজ ২০০ জনেরও বেশি। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এখনও প্রাণের খোঁজ চলছে। তার মধ্যেই কাঠুয়াতে হড়পা বানের জেরে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে গ্রামের বিস্তীর্ণ অংশ। আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে কাঠুয়ায়। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

অন্য দিকে, হিমাচলেও পর পর মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত বহু এলাকা। রবিবার কুলু, মন্ডীতে হড়পা বান নেমে আসে। যার জেরে চণ্ডীগড়-মানালি জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মন্ডীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সচিন হিরেমথ বলেন, ‘‘মন্ডীর পানসারা, তাকোলি, নাগওয়াই এলাকায় পর পর হড়পা বান নেমে এসেছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’’ রাজ্য জুড়ে এই দুর্যোগের জেরে ৩৭৪টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ৩০৫ এবং ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ধসের জেরে বন্ধ। ধস আর হড়পা বানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মন্ডী, কুলু এবং কিন্নৌর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement