National News

রাম রহিমের ডেরা থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণে কন্ডোম, গর্ভনিরোধক

রাজকীয় হালে নিজের সাম্রাজ্য পরিচালনা করতেন ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত গুরমিত রাম রহিম সিংহ। এ বার গুরমিতের গোপন গুহা থেকে মিলল প্রচুর পরিমাণে কন্ডোম, গর্ভনিরোধক বড়ি, অশ্লীল সিডি, ভিডিও এমনকী সেক্স টনিকও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৭ ১৪:০৬
Share:

তাঁর ভাণ্ডারে লেক্সাস, রেঞ্জ রোভারের মতো বিলাসবহুল গাড়ির সংখ্যা একাধিক। বিশাল বিশাল ঘরের অধিকাংশ জায়গাই খাঁটি সোনায় মোড়া। এখান থেকেই রাজকীয় হালে নিজের সাম্রাজ্য পরিচালনা করতেন ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত গুরমিত রাম রহিম সিংহ। এ বার গুরমিতের গোপন গুহা থেকে মিলল প্রচুর পরিমাণে কন্ডোম, গর্ভনিরোধক বড়ি, অশ্লীল সিডি, ভিডিও এমনকী সেক্স টনিকও।

Advertisement

আরও পড়ুন: তল্লাশিতে কী মিলল ‘বাবা’র গুপ্ত ঘরে? দেখে নিন

সম্প্রতি নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন এই মামলার প্রধান তদন্তকারী সিবিআইয়ের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি এম নারায়ণন। কী ভাবে ডেরার ভিতর অসামাজিক কাজকর্ম চালাতেন গুরুজি তাও সংবাদ মাধ্যমকে জানান নারায়ণন।

Advertisement

আরও পড়ুন: লাল ব্যাগেই পালানোর ছক, সঙ্কেত ডেরা-প্রধানের

একেবারে মনের মতো করে ডেরায় পরিবেশ সাজিয়েছিলেন রাম রহিম। কেমন ছিল সেই পরিবেশ? বিভিন্ন সূত্র থেকে সেই খবর জোগাড় করেছিলেন নারায়ণন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, নিজের গোপন গুহায় সুন্দরী অল্পবয়সী সাধ্বীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতেন বাবা। তাঁর ব্যক্তিগত পরিচর্যার দায়িত্বে থাকতেন এই সাধ্বীরাই। কিন্তু অনেক সময় তাতেও মন ভরত না বাবার। ঠিক রাত ১০টার সময় ফোন যেত প্রধান সাধ্বীর কাছে। ‘আবদার’ থাকত নতুন তরুণী সাধ্বী পাঠানোর। নারায়ণন জানিয়েছেন, ডেরার সকলেই জানত এ বিষয়ে। কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতেন না কেউ। সাক্ষাৎকারে নারায়ণন জানিয়েছেন, সামাজিক কাজকর্মের আড়ালে স্বেচ্ছাচার চালাতেন ভণ্ড বাবা। নারায়ণনের কথায়, “ও মানসিক রোগগ্রস্ত। জন্তু ছাড়া আর কিচ্ছু নয়।”

আরও পড়ুন: রাম রহিম অভিনীত সিনেমাগুলির অবাক করা এই তথ্যগুলি জানেন?

ডেরা সচ্চা সৌদা-র মূল দ্বার

ধর্ষণ মামলায় গুরমিতের জেল হওয়ার পর তল্লাশি চালানো হয় তাঁর ডেরায়। সেখান থেকে ১৮ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের উপরেও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে কি না, তা জানার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

নারায়ণন জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ সালের মধ্যে শুধুমাত্র যৌন নির্যাতনের কারণেই ডেরা ছেড়ে গিয়েছিলেন দুই শতাধিক মহিলা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে মাত্র ১০ জনকে খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। তাঁদের মধ্যেও মাত্র দু’জন আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। বাকিরা মুখ খুলতে চাননি।

আরও পড়ুন: মেয়ে? ওদের আমি বিছানায় দেখেছি, বলছেন হানিপ্রীতের প্রাক্তন স্বামী

শুধু ধর্ষণ মামলাই নয়, রাম রহিমের মাথার ওপর ঝুলছে দু’টি খুনের মামলাও। ২০০২ সালে ধর্ষণের কথা জানিয়ে দুই সাধ্বী চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটোলবিহারী বাজপেয়ীকে। ওই দুই সাধ্বীর মধ্যে একজন ছিলেন ডেরা ম্যানেজার রঞ্জিত সিংহের বোন। ‘দেশ সেবক’ নামের একটি পত্রিকায় এই চিঠি প্রকাশ করেন সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতি। অভিযোগ, এরপরেই রঞ্জিত সিংহ এবং ছত্রপতিকে খুন করান রাম রহিম। আগামী মাসেই শুরু হবে সেই মামলার শুনানি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন