(বাঁ দিকে) লালুপ্রসাদ এবং অশোক গহলৌত (ডানদিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বিহারে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধনে আসনরফা নিয়ে জট কাটল না। সে রাজ্যেই ২৪৩টি আসনের জন্য বিরোধী জোটের বিভিন্ন সহযোগী দলের ২৫৩ জন প্রার্থী রয়ে গিয়েছেন এখনও। বুধবার কংগ্রেস হাইকমান্ডের দূত তথা রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত পটনায় এসে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে আশা প্রকাশ করেছেন, শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়বে বিরোধী জোট।
এখনও পর্যন্ত পাঁচটি বিধানসভা আসনে আরজেডি এবং কংগ্রেস দু’দলের প্রার্থীরা রয়েছেন। চারটিতে রয়ে গিয়েছেন কংগ্রেস ও বাম প্রার্থীরা। একটি আসনে আরজেডি এবং মহাগঠবন্ধনের আর এক শরিক ভিআইপি (বিকাশশীল ইনসান পার্টি)-র প্রার্থীর লড়াই হতে চলেছে। এই ১০টি আসনের মধ্যে প্রথম দফার তিনটি আসনে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থী প্রত্যাহার সম্ভব নয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে লালু-পুত্র তেজস্বীকে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ ঘোষণা করা নিয়েও ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের অন্দরে মতবিরোধ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বিশেষত, কংগ্রেস নেতৃত্বের বড় অংশই নাকি তেজস্বীর নাম ঘোষণা করার পক্ষপাতী নন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বুধবার পটনায় লালুর সঙ্গে বৈঠকের (যে বৈঠকে লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তেজস্বী হাজির ছিলেন) পরে গহলৌতকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি সরাসরি কোনও জবাব দেননি। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ বিষয়ে উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ এরই মধ্যে বুধবার এক আরজেডি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কৈমুর জেলার মোহানিয়া বিধানসভা আসনে শ্বেতা সুমন নামে ওই প্রার্থীর নাম উত্তরপ্রদেশের ভোটার তালিকাতেও রয়েছে বলে অভিযোগ নির্বাচন কমিশনারের। যদিও শ্বেতার পাল্টা অভিযোগ, তিনি চক্রান্তের শিকার।