ছবি :টুইটার
বিরল এক সন্ধিক্ষণ প্রত্যক্ষ করল শিলং রাজভনের দরবার হল। ঝলমলে এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার রাজ্যপাল গঙ্গাপ্রসাদের কাছ থেকে শপথবাক্য পাঠ করে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার নিলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির(এনপিপি) নেতা কনরাড সাংমা। মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন মোট ১১ জন।
তবে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, ভোট পর্ব শেষ করে মেঘালয় আসলে ঢুকে পড়ল জোট রাজনীতির এক জটিল অধ্যায়ে। এ দিনের শপথ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে দিল্লি থেকে উ়ড়ে এসেছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
অন্য দিকে, ৬০-এর মধ্যে ২১টি আসন পেয়েও সরকার গড়তে না পারায় কংগ্রেস রীতিমতো ফুঁসছে। তাদের অভিযোগ, টাকা দিয়ে গড়া জোটে মেঘালয়ে সরকার তৈরি করল বিজেপি। তাদের মতে, এটা নীতিহীন জোট।
আরও পড়ুন: শেষবেলায় জটিলতা মেঘালয়-নাগাল্যান্ডে
কনরাড-ক্যাবিনেটে যে ১১ জন ঠাঁই পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এনপিপি-র ৫ জন। মেঘালয়ে মাত্র ২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। জয়ী দুই বিধায়কের মধ্যে এক জনকে মন্ত্রী করা হয়েছে।
তবে শপথ গ্রহণের পরেই প্রশ্ন উঠছে, মেঘালয়ে জোটের ভবিষ্যত নিয়ে। কে হবেন অর্থমন্ত্রী? কার হাতেই বা থাকবে স্বরাষ্ট্র? এ নিয়ে শরিকদের মধ্যে জল্পনার পাশাপাশি রয়েছে চাপা ক্ষোভ।
এমনিতেই মেঘালয় মানেই ‘আয়ারাম-গয়ারাম’-এর রাজনীতি। আজ যে এ ডালে, কাল সে অন্য শাখায়। রাজনৈতিক শিবিরগুলির মতে, মুখের গ্রাস থেকে বঞ্চিত হয়ে বিজেপি-জোটের দিকে নজর রাখছে কংগ্রেস। এ অবস্থায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা হয়তো বুঝতে পারছেন, তাঁর মুকুটে যতটা না ফুল, তার চেয়ে কাঁটা ঢের বেশি।