গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু মাথায় ঢুকছে না অর্ধেক বিধায়কেরই! নানা উপজাতি ভাষায় ভাষণের জেরে এমনই অবস্থা মেঘালয় বিধানসভায়। সৌজন্যে রাজ্যপাল গঙ্গাপ্রসাদ।
বাজেট অধিবেশনের সূচনায় বিধায়কদের একাংশের আপত্তি অগ্রাহ্য করে রাজ্যপাল ইংরাজি নয়, হিন্দিতে বক্তৃতা দেন। কংগ্রেস বিধায়ক আমপারিন লিংডো তো সভা ছেড়ে বেরিয়েই যান। অনেকেরই আশঙ্কা, রাজ্যে হিন্দি ভাষা ও সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার এ এক চক্রান্ত।
উল্লেখ্য, মেঘালয়ে উপজাতিদের ভাষাগত ভিন্নতার কারণেই ১৯৭২ সালের প্রথম বিধানসভা অধিবেশন থেকেই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল—বিধানসভার কাজ ও আলোচনা চলবে ইংরাজিতেই। ‘মেঘালয় ভাষা আইন’-এর ২৮ নম্বর ধারাতেও বলা হয়েছে, বিধানসভার কাজকর্ম ইংরাজিতে হবে। তবে রাজ্যপালের হিন্দি-সম্ভাষণ প্রসঙ্গে স্পিকার ডনকুপার রায় সে দিনই বলেছিলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী যে কেউ মাতৃভাষায় বক্তব্য রাখতেই পারেন। রাজ্যপালের ভাষণের ইংরাজি প্রতিলিপি আগেই বিলি করা হয়েছিল। সমস্যা কোথায়!’’
আরও পড়ুন: চা বিক্রি করেন যোগী আদিত্যনাথের দিদিও
কংগ্রেস, খানম, এনসিপি বিধায়কদের বক্তব্যে। আমপারিন রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে আলোচনার শুরুতেই মাতৃভাষায় বিধানসভায় কথা বলতে পারায় স্পিকারকে ‘ধন্যবাদ’ দেন। ভাষা আইনের ২৮ নম্বর ধারা সংশোধন করে বিধানসভায় সকলকে নিজেদের ভাষায় কথা বলার ব্যবস্থা করারও আর্জি জানান তিনি। এর পর ৪০ মিনিট খাসি ভাষায় বক্তৃতা দেন তিনি। জয়ন্তিয়া ও গারো পাহাড়ের বিধায়করা কিছুই বোঝেননি। খানম দলের বিধায়ক অ্যাডেলবার্ট নোংগ্রুমও ইংরাজিতে কয়েক লাইন বলেই চলে যান খাসি ভাষায়। এনসিপি বিধায়ক সালেং সাংমা গারোয় বক্তব্য রাখেন। কংগ্রেস বিধায়ক চার্লস পাইরংপোর আবেদন, কিছু বিধায়ক ইংরাজিতে তুখড় নন।
তাই খাসি ও গারো অনুবাদক নিযুক্ত হলে ভাষণ সরাসরি অনুবাদ করে বোঝানো যাবে। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, ‘‘সকলের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আছে, সকলের বোধগম্যের জন্য যাঁরা ইংরাজি বলতে পারেন, তাঁরা ইংরাজিতেই বলুন!’’