প্রতীকী ছবি।
সব ঠিকই ছিল, কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকরা গ্রামে ফেরার পরেই শুরু হল সমস্যা। হু হু করে বেড়ে গেল করোনা সংক্রমণ। উত্তরপ্রদেশের গোন্দা জেলার নিন্দুরা গ্রামের বাসিন্দাদের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা এটাই। যে নিন্দুরা গ্রামে এখনও অবধি ২২ জন গ্রামবাসী করোনাভাইরাস সংক্রমণে মারা গেলেও এখনও পৌঁছয়নি কোনও সাহায্য ও চিকিৎসা পরিষেবা।
উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য মুম্বই ও অন্যান্য বড় শহর থেকে গ্রামে ফিরেছিলেন দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিক। সে সময়ই মুম্বইতে করোনাভাইরাস অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের সূচনা। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, শ্রমিকরাই সম্ভবত গ্রামের সংক্রমণের কারণ। তাঁদের কথা অনুযায়ী, তার পরেই গ্রামের ঘরে-ঘরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে থাকেন মানুষ। করোনা পরীক্ষা ও নূন্যতম চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকার কারণে বুঝে ওঠার আগেই মারা যান অনেকে। নিকটবর্তী কর্নেলগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অনেককে ভর্তি করা হলেও কোভিডের সঠিক চিকিৎসা ও অক্সিজেনের যোগান না থাকায় শেষরক্ষা হয় না সেখানেও।
উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে ২৮ বছরের মহম্মদ আরশাদের নাম। একটি হার্ডওয়্যারের দোকানের কর্মচারী ছিলেন আরশাদ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়ার দু’দিন পরেই মারা যান। ঠিক তার পরেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই মারা যান তাঁর বাবা মহম্মদ শাদ। পরিজনরা জানিয়েছেন, পরিবারের রুজি রোজগারের ভার ছিল এই দু’জনের উপরেই। ক্রমাগত অসহায় ভাবে এমন একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামবাসীদের।
বিষয়টি নিয়ে কর্নেলগঞ্জ মহকুমার প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি গোন্দার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। অন্যদিকে জেলাশাসক স্পষ্ট জানান, গোন্দার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এই বিষয়ে তথ্য দিতে পারবেন। মুখ্য আধিকারিক প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে না চাইলেও পরে অবশ্য জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়িই ওই গ্রামে সাহায্য পাঠানোর ব্যবস্থা হবে।