Corona

আক্রান্তদের দেহে তৈরি হচ্ছে না অ্যান্টিবডি, তাই ফিরে আসছে করোনা, বলছে সমীক্ষা

সিএসআইআর জানাচ্ছে, মোট ১০,৪২৭ জনের উপর পরীক্ষায়দেখা গিয়েছে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে (সেরো পজিটিভিটি) মাত্র ১০.১৪ শতাংশের দেহে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২১ ১৫:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও অনেকের দেহেই গড়ে ওঠেনি স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। ভারতে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের অন্যতম কারণ হল কোভিড-১৯ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির অনুপস্থিতি।

Advertisement

‘কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ (সিএসআইআর)-এর মার্চ মাসের ওই সমীক্ষা জানাচ্ছে, মোট ১০,৪২৭ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে (সেরো পজিটিভিটি) মাত্র ১০.১৪ শতাংশের দেহে। দেশের ১৭টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সিএসআইআর-এর কর্মীদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য মিলেছে।

সমীক্ষার এই ফল উদ্বিগ্ন করেছে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশকে। কারণ, তাঁদের মতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না উঠলে শুধুমাত্র টিকা আর ওষুধের সাহায্যে কোভিড-দমন খুবই কঠিন।

Advertisement

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির ‘সক্রিয়তার মেয়াদ’ নিয়েও দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তৈরি হওয়ার ৫-৬ মাসের মধ্যেই অ্যান্টিবডিগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সিএসআইআর-এর গবেষক শান্তনু সিংহ জানান, গত সেপ্টেম্বরে দেশ জুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শীর্ষে উঠেছিল। অক্টোবর থেকে না কমতে শুরু করে। কিন্তু ‘কার্যকরী অ্যান্টিবডির অভাবে’ ফের মার্চ মাস থেকে সংক্রমণের গতি বাড়তে শুরু করে। তিনি বলেন, ‘‘আমদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিউক্লিওক্যাপসিড প্রোটিন বিরোধী অ্যান্টিবডি সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অ্যান্টিবডি তৈরির পরেও প্রায় ২০ শতাংশ ব্যক্তির দেহে ৫-৬ মাস পরে তার কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে দ্বিতীয় বার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন