coronavirus

মহারাষ্ট্রে সাড়ে ১৬ হাজার সংক্রমণ, প্রায় তিন মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্ত দেশে

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন কিছু রাজ্যে আছড়ে পড়ছে, তখন জনগণের সচেতন না হওয়ার চিত্র চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৮।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২১ ১১:৫৪
Share:

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

মহারাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণ সোমবার সাড়ে ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেল। এ বছরে এখনও অবধি যা সর্বোচ্চ। কিন্তু সংবাদ সংস্থার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মুম্বইয়ের দাদরি বাজারে গাদাগাদি ভিড়। একদিনে মুম্বইয়েও আক্রান্ত প্রায় ২ হাজারের কাছাকাছি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন কিছু কিছু রাজ্যে ফের আছড়ে পড়ছে, তখন জনগণের সচেতন না হওয়ার চিত্র করোনার প্রকোপ নিয়ে চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। কারণ আইসিএমআর কিছুদিন আগেই সতর্ক বার্তা দিয়েছে, ‘অতিমারি শেষ হয়ে গিয়েছে এ রকম ভাবার কোনও কারণ নেই’। সঙ্গে করোনার নতুন রূপের সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে দেশের বিভিন্ন শহরে। সে জন্যই মাস্ক ব্যবহার এবং যতটা সম্ভব ভিড় এড়ানের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তাতে লাভ হচ্ছে কই?

Advertisement

মাসখানেক আগে কেরলের যা পরিস্থিতি ছিল তা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু কর্নাটক, তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাতেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল দৈনিক সংক্রমণ। গত কয়েক সপ্তাহে ওই রাজ্যগুলিতেও বাড়ছে সংক্রমণ। পঞ্জাবে গত কয়েকদিন ধরে তা দেড় হাজারের আশপাশে উঠে গিয়েছে। হরিয়ানাতেও গত ক’দিনে বাড়ছে। ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশেও ধারাবাহিক ভাবে বেড়ে চলেছে। মহারাষ্ট্রের অবস্থা তো সবচেয়ে খারাপ। মূলত এই ক’টি রাজ্যেই হচ্ছে দেশের মোট দৈনিক সংক্রমণের ৯০ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গেও একটা সময় দৈনিক আক্রান্ত ১৫০-র আশপাশে নেমে এসেছিল। এখন তা আবার ২৫০-র বেশি হচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কিছু রাজ্যে ফের লকডাউনের পথে হাঁটছে। হস্টেলে পড়ুয়ারা আক্রান্ত হওয়ায় স্কুল-কলেজও বন্ধ হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ২৯১ জন। প্রায় তিন মাস পর দেশের দৈনিক সংক্রমণ এত বেশি হল। দেশে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৩৯। যদিও ব্রাজিল মোট সংক্রমণের নিরিখে ভারতকে ছাপিয়ে ফের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

Advertisement

দেশে করোনার জেরে রোজ মৃত্যু ১০০-র নীচে নেমেছিল। গত কয়েক দিনে তা ফের ১০০ কখনও ১৫০ পেরিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৮ জন। এ নিয়ে মোট মৃত ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭২৫ জন। এই সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও রোজ বাড়ছে। এখন তা প্রায় ২ লক্ষ ১৯ হাজার ২৬২। এ সবের মধ্যে টিকাকরণও দেশে চলছে জোরকদমে। এখনও অবধি প্রায় ৩ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে দেশে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement