সুষমা-বসুন্ধরার পর স্মৃতি-কাণ্ডে ফের অস্বস্তিতে বিজেপি

একে সুষমায় রক্ষা নেই তায় স্মৃতি দোসর। ললিত-বিতর্কে মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নাম জড়িয়ে পড়ায় এমনিতেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে বিজেপি। তারই মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৫ ১৬:০০
Share:

একে সুষমায় রক্ষা নেই তায় স্মৃতি দোসর।
ললিত-বিতর্কে মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নাম জড়িয়ে পড়ায় এমনিতেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে বিজেপি। তারই মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে। স্মৃতি নাকি এক এক বার এক এক রকম তথ্য দিয়েছেন কমিশনকে। এই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন আহমের খান নামে এক লেখক। বুধবার আদালত জানিয়ে দেয়, এই অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে। আগামী ২৮ অগস্ট এই মামলার প্রথম শুনানি।
কী বলছেন আহমের?
তাঁর কথায়, ‘‘কম শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, এটা কোনও সমস্যা নয়। বিষয়টি খুবই বড় কেননা, খোদ মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে সততা দেখাননি।’’ অভিযোগে আহমের আদালতকে জানিয়েছেন, ২০০৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে স্মৃতি কমিশনকে জানান যে তিনি ১৯৯৬-তে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরশিক্ষার মাধ্যমে বিএ পাশ করেছেন। অথচ ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে অমেঠি থেকে দাঁড়ানোর আগে সেই স্মৃতি-ই কমিশনকে জানান, তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওপেন লার্নিং থেকে বি.কম পাশ করেছেন। ২০১১-তেও স্মৃতি কমিশনকে তাঁর বি.কম পাশের কথা জানিয়েছিলেন। আহমেরের প্রশ্ন, ২০০৪-এর পর ২০১১ তে প্রতিষ্ঠান-সহ স্নাতকস্তরের বিষয় পাল্টে গেল কী ভাবে? আবার ২০১৪-তেও সেই একই তথ্য দিচ্ছেন মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী! আদালত এ দিন জানিয়েছে, এই অভিযোগের ভেতর সারবত্তা রয়েছে। তবে, অভিযোগকারীকে এ বিষয়ে প্রমাণ দাখিল করতে হবে।

Advertisement

এর আগে দিল্লির আপ-সরকারের আইনমন্ত্রী জীতেন্দ্র তোমরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, তাঁর আইন নিয়ে পড়াশোনার শংসাপত্রটি ভুয়ো। সেই মামলায় এখনও তিনি জেলে রয়েছেন। মঙ্গলবারই আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, ‘‘তোমর আমাকে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখেছিল। কিন্তু, বিষয়টি জানার পর তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীরও উচিত যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া।’’ এর মধ্যেই আদালত এ দিন স্মৃতি মামলায় মান্যতা দিল।

আগামী ২১ জুলাই থেকে সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হবে। তার আগেই বিরোধীদের হাতে বিজেপি বিরোধীতার নতুন অস্ত্র উঠে এল।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন