চিকিৎসক দেবেন দত্ত।
জোরহাটের টিওকে চা বাগানের চিকিৎসক দেবেন দত্তকে হত্যার ঘটনায় এক জনকে ফাঁসি ও বাকি ২৪ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জোরহাট আদালত। এই প্রথম কোনও একটি হত্যাকাণ্ডে আদালত ২৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। ২২ দিনে তদন্ত শেষ করে ৬০২ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল পুলিশ।
২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট টিওকের অ্যামালগামেটেড চা বাগানে এক শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাগান শ্রমিকরা ৭২ বছর বয়সী ডাক্তার দেবেনবাবুর উপরে হামলা চালায়। পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। দীর্ঘক্ষণ ধরে মারধর, রক্তপাতে দেবেনবাবু মারা যান। আজ জোরহাট জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক রবীন ফুকন দোষীদের শাস্তি ঘোষণা করেন। প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রাজোয়ার কাচের ভাঙা টুকরো দিয়ে আঘাত করেছিল দেবেনবাবুকে। অতিরিক্ত রক্তপাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা হয়েছে।
পুলিশ তদন্তে ৬০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। কিন্তু শুনানির প্রথম পর্যায়ে ভয়ে ও চাপে পড়ে অনেক সাক্ষীই ভয়ে বয়ান বদল করেছিলেন। তাই এই মামলায় দেশের মধ্যে প্রথম বার সাক্ষীদের পরিচয় গোপন রাখতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘উইটনেস প্রোটেকশন স্কিম’ ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: টিকায় আবশ্যিক নয় ডিজিটাল স্বাস্থ্যকার্ড: কেন্দ্র
আরও পড়ুন: হাথরস নিয়ে রিপোর্টে বিদ্ধ যোগী সরকার
তদন্তে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ৩১ জনকে। তাদের মধ্যে ৬ জনকে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে খালাস করে আদালত। অভিযুক্ত ২৬ জনের মধ্যে বিচারাধীন অবস্থায় একজন মারা যায়।