দুই শরিকে মন কষাকষি বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে। কিন্তু এ বার হেস্তনেস্ত করার বার্তা দিতে চাইছে বিজেপি। গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।
শিবসেনাকে এ বার কঠোর সতর্কবার্তা দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। উদ্ধব ঠাকরে সিদ্ধান্ত নিন, তিনি জোট রাখতে চান কি না। বার্তা ফডণবীসের। জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের সবচেয়ে পুরনো শরিক শিবসেনার সঙ্গে গত কয়েক বছরে ক্রমাগত বিজেপির সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। মহারাষ্ট্রে এখনও বিজেপি-শিবসেনা একসঙ্গেই সরকার চালাচ্ছে। কেন্দ্রের এনডিএ জোটেও শিবসেনা অন্যতম শরিক এখনও। কিন্তু সম্প্রতি সেনার একাধিক নেতা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন। এই ‘দ্বিচারিতা’ চলতে পারে না বলে শিবসেনাকে সতর্ক করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর সেক্স ভিডিও ফাঁসের ভয়? তোলাবাজির অভিযোগে ধৃত সাংবাদিক
শিবসেনার গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের মন্তব্য নিয়ে তুমুল জলঘোলা শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের অন্দরে। রাউত বলেছেন, ‘‘দেশে মোদী ঝড় থেমে গিয়েছে।’’ রাহুল গাঁধী এখন দেশকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম বলেও শিবসেনা সাংসদ মন্তব্য করেছেন। টিভি শোয়ে সঞ্জয় রাউতের এই মন্তব্যকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না বিজেপি। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসকেও একাধিক বার আক্রমণ করেছে শিবসেনা। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করতেও সেনা নেতারা পিছপা হননি। কিন্তু যে ভাবে এ বার মোদীর সঙ্গে রাহুল গাঁধীর তুলনা টানা হয়েছে এবং রাহুলের প্রধানমন্ত্রিত্বের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে, তাতে বিজেপির অস্বস্তি বাড়াই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: ডিএসপি-র আত্মহত্যায় প্ররোচনা! কর্নাটকের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সিবিআই মামলা
দেবেন্দ্র ফডণবীস বলেছেন, ‘‘শিবসেনা আমাদের সব সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। তাঁরা চাইলে পরামর্শ দিতেই পারেন। কিন্তু একই সঙ্গে শাসক দল এবং বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করা যায় না।’’ শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের নাম করে মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীসের বার্তা, ‘‘উদ্ধবজিকে এ বার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে ছবি তাঁরা তুলে ধরছেন, তা মানুষ পছন্দ করছেন না।’’ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘বালাসাহেব কখনও সব সিদ্ধান্তকে এই রকম নেতিবাচক চোখে দেখতেন না। উদ্ধবজি-ও তেমনটা করেন না। কিন্তু তাঁর দলের কিছু নেতা নিজেদেরকে দলের প্রধানের চেয়েও বড় ভাবেন এবং নানা রকম মন্তব্য করেন।’’ ফডণবীসের খোঁচা যে সঞ্জয় রাউতের প্রতিই, তা স্পষ্ট।