নাবালিকা ধর্ষণ নিয়ে লড়াইয়ে সফল অলখ

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস ল’ সেন্টারের সোনার পদক পাওয়া প্রাক্তনী অলখ। এক সময়ে এক তেল সংস্থায় আইনজীবীর চাকরি করছেন তিনি।

Advertisement

অনঘ গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:০৪
Share:

অলখ অলক শ্রীবাস্তব

কর্পোরেট সংস্থার আইনজীবীর চাকরি ছেড়ে পেশাদার হিসেবে কাজ। সেখান থেকে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির জন্য লড়াই। ১২ বছরের কম বয়সি নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সরকার অধ্যাদেশ আনার পরে তাঁর লড়াই কিছুটা সফল হয়েছে বলে মনে করছেন তরুণ আইনজীবী অলখ অলক শ্রীবাস্তব। কারণ, এই অপরাধে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পিছনে যে সেই মামলার ভূমিকা অনেকটা, তা একবাক্যে স্বীকার করছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই।

Advertisement

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস ল’ সেন্টারের সোনার পদক পাওয়া প্রাক্তনী অলখ। এক সময়ে এক তেল সংস্থায় আইনজীবীর চাকরি করছেন তিনি। রবিবার দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, ‘‘প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস এইচ কপাডিয়ার সঙ্গে একটা সাক্ষাৎ আমার জীবনের গতি অনেকটাই বদলে দিয়েছে। ২০১২ সালে ইন্ডিয়ান ল’ ইনস্টিটিউটে ওই সাক্ষাতে বিচারপতি কপাডিয়া আমাকে প্রান্তিক মানুষের জন্য লড়াই করতে উৎসাহ দেন। উনি বলেছিলেন, তোমাদের মতো তরুণ আইনজীবীরাই এই লড়াই লড়তে পারো।’’

২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টে প্রবীণ আইনজীবী মোহন জৈনের সঙ্গে পেশাদার আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন শ্রীবাস্তব। ২০১৪ সালে শুরু করেন আলাদা ভাবে কাজ।

Advertisement

২০১৭ সালের জুলাই মাসে প্রথম জনস্বার্থ মামলা করেন অলখ। চণ্ডীগড়ের একটি ১০ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল তার মামা। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়। মেয়েটির গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি চণ্ডীগড়ের জেলা আদালত। অলখের করা মামলার প্রেক্ষিতে মেডিক্যাল বোর্ড তৈরির নির্দেশ দেয় আদালত। তবে তত দিনে প্রসবের কাছাকাছি পর্যায়ে এসে পড়েছিল মেয়েটি। এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় সে। শেষ পর্যন্ত অলখের চেষ্টাতেই মহারাষ্ট্রের এক দম্পতি ওই কন্যাসন্তানকে দত্তক নেন।

এর পরে দিল্লির আট বছর বয়সি এক নির্যাতিতার হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন অলখ। তাঁর কথায়, ‘‘মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছিল তার এক সম্পর্কিত ভাই।’’ তার পরেই নাবালিকা ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন অলখ। অলখ জানাচ্ছেন, ওই মামলায় আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সেগুলি আদালতের বিবেচনাধীন। অলখের কথায়, ‘‘সব দায় সরকার, আদালতের উপরে চাপানো ঠিক নয়। আইনজীবী হিসেবে আমরা লড়াইয়ের একটু বেশি সুযোগ পাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন