Rape

গুড়িয়া-ধর্ষণে দোষী দুই

এ দিন রায়দানের সময়ে আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক নরেশ কুমার মলহোত্র বলেছেন, ‘‘আমাদের সমাজে ওই বয়সের শিশুদের দেবজ্ঞানে পুজো করা হয়। এই ক্ষেত্রে মেয়েটি চূড়ান্ত হিংস্রতা ও রুচিবিকৃতির শিকার।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

গুড়িয়া ধর্ষণ মামলায় দুই অভিযুক্ত মনোজ শাহ ও প্রদীপ কুমারকে শনিবার দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির একটি পকসো আদালত। আগামী ৩০ জানুয়ারি দোষীদের সাজা শোনাবে কোর্ট।

Advertisement

এ দিন রায়দানের সময়ে আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক নরেশ কুমার মলহোত্র বলেছেন, ‘‘আমাদের সমাজে ওই বয়সের শিশুদের দেবজ্ঞানে পুজো করা হয়। এই ক্ষেত্রে মেয়েটি চূড়ান্ত হিংস্রতা ও রুচিবিকৃতির শিকার।’’

রায় ঘোষণার পরে কোর্ট চত্বরেই মেজাজ হারায় মনোজ। আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসার পথে আচমকা চড়াও হয় কয়েক জন সাংবাদিকের উপরে। এক মহিলা
সাংবাদিকের মুখে আঘাত করে সে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি বিচারক মলহোত্রের নজরে আনা হয়। তিনি ওই মহিলাকে লিখিত অভিযোগ জমা করতে বলেছেন।

Advertisement

২০১৩ সালের এপ্রিলে, নির্ভয়া কাণ্ডের মাস চারেকের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটেছিল। দিল্লির গাধীঁনগর এলাকা থেকে মনোজেরা পাঁচ বছরের একটি শিশুকন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। তার পরেও চলে যৌন নির্যাতন। দু’দিন নিখোঁজ থাকার পরে ১৭ এপ্রিল নিজের বাড়ির বেসমেন্ট থেকেই বদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় শিশুটি। তার গোপনাঙ্গ থেকে মেলে মোমবাতির টুকরো আর বোতল।

এই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই মনোজ আর প্রদীপকে আলাদা আলাদা ভাবে বিহারের মুজফ্‌ফরপুর ও দ্বারভাঙা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, সে দিন বেসমেন্টে মনোজের ঘরে অত্যাচারের পরে শিশুটি মারা গিয়েছে ভেবে তারা তাকে ও ভাবেই ফেলে রেখে পালায়। সে বছর ২৪ মে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ এবং ১১ জুলাই কোর্টে চার্জ গঠন হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার
দৌলতে নির্যাতিতা শিশু গুড়িয়া নামেই পরিচিত।

শনিবার মনোজদের দোষী ঘোষণা করার পরে গুড়িয়ার বাবা বলেছেন, ‘‘দু’বছরের মধ্যেই বিচার হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বিচার মেলায় আমরা খুশি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন