রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী।- ফাইল ছবি।
জাঠ, রাজপুত আর জাঠ শিখ, শুধু এই তিনটি জাতের প্রতিনিধি হলেই তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী হতে পারবেন? ওই তিনটি জাত ছাড়া অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী হওয়ার জন্য আবেদনও করতে পারবেন না? কেন্দ্রীয় সরকার ও দেশের সেনাপ্রধানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি এস মুরলীধর ও বিচারপতি সঞ্জীব নারুলাকে নিয়ে গড়া দিল্লি হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার সেই জবাবদিহি চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, সেনাপ্রধান, রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীর কম্যান্ডান্ট ও সেনা নিয়োগ বোর্ডের অধিকর্তাকে। বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে চার মাসের মধ্যে।
যে জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট এই জবাবদিহি চেয়েছে, সেই মামলাটি করেছিলেন গৌরব যাদব নামে হরিয়ানার এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী হিসাবে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের সকলেই হয় জাঠ বা রাজপুত, না হলে জাঠ শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত। গৌরব ওই নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারির আর্জি জানিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে।
আদালতে পেশ করা পিটিশনে গৌরব বলেছেন, সেনা নিয়োগের জন্য যে সব যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল, তার সবই ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি আহির/যাদব হওয়ায় সেই চাকরি পাননি।
আরও পড়ুন- ‘ছোট্ট ঘটনা’! পুলিশকে গুলির নির্দেশ দিয়েও ক্ষমা চাইলেন না কুমারস্বামী
আরও পড়ুন- রাজস্থানের কোটায় ফের আত্মঘাতী আইআইটি পরীক্ষার্থী, ঘরে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
গৌরবের আইনজীবী রাম নরেশ যাদব বলেছেন, ‘‘শুধু ওই তিনটি জাতকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রে। ফলে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্য জাত বা সম্প্রদায়ের মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন।’’