কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। -ফাইল ছবি।
পুলিশকর্মীকে ‘নির্দয় ভাবে গুলি করে মারো’, নির্দেশ দিয়েছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। পুলিশের গুলিতে দলের এক কর্মীর মৃত্যু হওয়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে কর্নাটকের মানবাধিকার কমিশনে। কিন্তু তার পরেও দুঃখবোধ প্রকাশ না করে, তাঁর নির্দেশের পক্ষে অজুহাত খাড়া করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। বললেন, ‘‘এটা খুব ছোট্ট ঘটনা’’।
এক জন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি কী ভাবে এমন নির্দেশ দিতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পিপল্স ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজের তরফে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী টি নরসিংহ মূর্তি। তাঁর অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশকে ‘বিচারবিভাগের অবমাননা’ বলেছেন মূর্তি।
মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর বক্তব্য, তিনি আবেগের বশেই ওই নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেই আবেগের যুক্তিও রয়েছে। কুমারস্বামীর কথায়, ‘‘এটা কোনও বড় ইস্যুই নয়। মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা। ওই রকম পরিস্থিতিতে যে কেউই অমন কথা বলবেন। আমার রাজ্যের কেউ বিপদে পড়লে আমি তো তাতে উত্তেজিত হয়ে পড়বই। কারণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করাটা আমার দায়িত্ব। ওই খুনের (কুমারস্বামীর দল জেডি (এস)-এর কর্মী) ঘটনায় আমার বদনাম রটেছে। উনি (জেডি (এস) কর্মী প্রকাশ) খুব ভাল মানুষ ছিলেন। ওঁর মতো মানুষকে নির্দয় ভাবে মারা হলে কোনও সমস্যা হয় না, এটাই বিস্ময়ের।’’
আরও পড়ুন- কৃষকদের মন পেতে মোদীর পথেই কুমারস্বামী, বিপুল ঋণ মকুব
আরও পড়ুন- রাহুল-সনিয়ার সঙ্গে কথা কুমারস্বামীর, তবু জট কাটল না মন্ত্রিসভা নিয়ে
রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনে জানানো অভিযোগে মানবাধিকার কর্মী টি নরসিংহ মূর্তি বলেছেন, ‘‘এটা অত্যন্ত অনৈতিক ঘটনা। এমন ঘটনা সংবিধানের মর্মার্থের পক্ষে ক্ষতিকারক। মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের পুলিশ বাহিনীকে বিপছে চালিত করেছেন। বিভ্রান্ত করেছেন। এতে আইনের অপব্যবহারও হয়েছে।’’
যদিও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এই সব অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাননি। বলেছেন, ‘‘আমি এই সব নিয়ে ভাবতেই চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy