দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। — ফাইল চিত্র।
হরিয়ানার আল্ ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জোড়া এফআইআর রুজু করল দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখা। একটি এফআইআর রুজু হয়েছে প্রতারণার অভিযোগে। অন্যটি রুজু হয়েছে জালিয়াতির অভিযোগে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানাচ্ছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) শুক্রবার রাতে হরিয়ানার বেশ কিছু জায়গায় হানা দেয়। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ওই অভিযানের সময়ে আল্ ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই চিকিৎসককে আটক করেন তদন্তকারীরা। লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়ির চালক উমর মহম্মদ ওরফে উমর নবির সঙ্গেও তাঁদের যোগাযোগ ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত অপর চিকিৎসক মুজ়াম্মিল গনির সঙ্গেও আটক দুই চিকিৎসকের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। ফরিদাবাদকাণ্ড এবং দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তদন্তকারীদের নজরে।
বিতর্কের মাঝে কয়েক দিন আগেই একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে তাঁরা দাবি করেন, ধৃত বা আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য তারা শোকাহত এবং মর্মাহত। ভুক্তভোগীদের প্রতি সমবেদনাও জানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্টের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ তোলা হয় ওই বিবৃতিতে।
এরই মধ্যে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশন (ইউজিসি) এবং ‘ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল’ (ন্যাক)-ও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলে। ‘ন্যাক’ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কখনও ‘অ্যাক্রিডেশন’ (স্বীকৃতি)-এর জন্য আবেদন করেনি। ফলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘ন্যাক’ স্বীকৃত নয়। আল্ ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ় নোটিসও পাঠিয়েছে ‘ন্যাক’।
এর পরেই শনিবার দিল্লি পুলিশের তরফে প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগে এফআইআর রুজু করা হল হরিয়ানার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। যদিও কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআরগুলি রুজু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।