প্রতীকী ছবি।
গুলি ছুড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গিয়ে বিদায় জানাতে হল নিজের আট বছরের ছেলেকেই। শূন্যে ছোড়া গুলি এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছিল ছেলের মাথা। তাতেই মৃত্যু হয় ছোট্ট রেহানের। ৩১ ডিসেম্বর রাতের ঘটনায় শনিবার অভিযুক্ত ইয়াসিনকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্ষবরণের রাতে রাজধানীর বুকে এ রকম একাধিক গুলি চালানোর ঘটনায় প্রশ্নের মুখে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা।
বর্ষবরণের রাতে উৎসবে গুলি ছুড়তে গিয়ে দিল্লির ফতেপুর বেড়িতে জেডিইউ বিধায়ক তাঁর ফার্ম হাউসে শূন্যে গুলি চালাতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে। গুলি ছিটকে আহত হন এক মহিলা বাস্তুকার। কয়েক দিন পরে তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু সেটাই যে একমাত্র নয়, এবং এ রকম একাধিক ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রমাণ সামনে এল শনিবার রাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৩১ ডিসেম্বর রাতেই উত্তর-পূর্ব দিল্লির উসমানপুর এলাকার কয়েকজন পুলিশে জানিয়েছিলেন, এলাকায় কাউকে গুলি করা হয়েছে। তবে অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ ততটা গুরুত্ব দেয়নি। এর পর শনিবার রাতে বিষয়টি সামনে আসে।
উসমানপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর রাতে ইয়াসিন এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি বন্দুক নিয়ে শূন্যে গুলি চালানোর প্রস্তুতি নেন। কিন্তু বন্দুক তাক করার আগেই গুলি ছিটকে গিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলের ডান দিকের চোয়াল ফুঁড়ে ঢুকে যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা রেহানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দিলীপের মমতা-স্তুতিতে স্তম্ভিত গোটা দল, তোলপাড় শুরু বিজেপিতে
আরও পড়ুন: এক দশক কোমায় থেকেও প্রসব, ধর্ষক কে বা কারা, খুঁজছে পুলিশ
উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনারঅতুলকুমার ঠাকুর জানিয়েছেন, ‘‘অভিযুক্ত ইয়াসিন পুলিশের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। বন্দুকটি তিনি রবি কাশ্যপ (২১) নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছে ইয়াসিন। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের লোনি এলাকায়। পুলিশ রবি কাশ্যপকেও গ্রেফতার করেছে, উদ্ধার হয়েছে বন্দুকটিও।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)