প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে প্রণব বর্ধন। শুক্রবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
নোট নাকচের সিদ্ধান্তকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিষ্ঠুর এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন রসিকতা বলে সমালোচনায় মুখর হলেন অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধন। শুক্রবার এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘দিল্লি বা রাঁচির মতো বিভিন্ন জায়গায় যে সমীক্ষা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, নোট বাতিলের ফলে গরিব মানুষের গড় আয় ৪৫ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ অবধি কমেছে। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন গরিব মানুষই। আর তার পরে নরেন্দ্র মোদী বলছেন, তিনি যা করেছেন, সবই গরিবের ভালোর জন্য। এটা নিষ্ঠুর রসিকতা ছাড়া আর কী?’’
এই ধাক্কা সামলে উঠতে ভারতীয় অর্থনীতির কত সময় লাগবে? অধ্যাপক বর্ধন বলেন, ‘‘সরকার তিন মাসে সব ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা বলছে। কিন্তু আমার মতে, তত তাড়াতাড়ি হবে না। আরও বেশি সময় লাগবে। নোট বাতিলের ফলে ঠিক কতখানি ক্ষতি হয়েছে, সেটা সামলাতে কত সময় লাগবে, এগুলো স্পষ্ট করে বোঝার জন্য বড় মাপের সমীক্ষা প্রয়োজন। সেটা করার ক্ষমতা আছে শুধু সরকারের। কিন্তু, তেমন সমীক্ষা হবে বলে আশা নেই।’’
কিন্তু গরিব মানুষের যদি এতই সমস্যা হয়, তবে সেই ক্ষোভের প্রকাশ কোথায়? প্রণববাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘যাঁদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের একত্রিত করা কঠিন। কারণ, তাঁদের একটা বড় অংশ গ্রাম থেকে শহরে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিক। তাঁরা কাজ না পেয়ে গ্রামে ফিরে গিয়েছেন। কারখানার শ্রমিকদের সংগঠিত করা সহজ, কারণ তাঁদের এক জায়গায় পাওয়া যায়। তাই এই ক্ষেত্রে মানুষের মনে রাগ থাকলেও তা সংগঠিত ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে না।’’