Rahul Gandhi on Election Commission

তথ্যপ্রমাণ মুছে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ করা হচ্ছে! পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগে সরব রাহুল, পাল্টা যুক্তি কমিশনের

কমিশনের যুক্তি, ভোটকেন্দ্রের ফুটেজ প্রকাশিত হলে ভোটারদের গোপনীয়তা ভঙ্গ হবে। কারণ, ফুটেজে কারা ভোট দিচ্ছেন, আর কারা দিচ্ছেন না, তা জানা যাবে। ফলে যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করা বা ভয় দেখানোর মতো ঘটনাও বাড়বে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৫ ১৯:১২
Share:

রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

তথ্যপ্রমাণ মুছে ফেলে আদতে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ করছে নির্বাচন কমিশন! শনিবার ফের এমন অভিযোগই তুললেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, গত মাসেই নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রের সমস্ত সিসিটিভি, ওয়েবকাস্ট এবং ভিডিয়ো ফুটেজ ৪৫ দিনের মধ্যে মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনেই শনিবার ফের সরব হলেন রাহুল।

Advertisement

শনিবার রাহুল নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘ভোটার তালিকা? মেশিনে পড়া যায় এমন তালিকা দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ? প্রয়োজনে আইন বদলে ফেলে তা গোপন রাখা হবে। ভোটের ছবি, ভিডিয়ো? এখন আর এক বছর নয়, বরং মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে সে সব মুছে ফেলা হবে! এ সব থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে আগে থেকেই ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ করে রাখা হয়েছে! আর যে নির্বাচনের ফলাফল আগে থেকেই নির্ধারিত, তা গণতন্ত্রের কাছে বিষের মতো।’’

যদিও এ বিষয়ে কমিশনের যুক্তি, ভোটকেন্দ্রের ফুটেজ প্রকাশিত হলে ভোটারদের গোপনীয়তা ভঙ্গ হবে। কারণ, ফুটেজে কারা ভোট দিচ্ছেন, আর কারা দিচ্ছেন না, তা জানা যাবে। ফলে যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করা বা ভয় দেখানোর মতো ঘটনাও বাড়বে। শুধু তা-ই নয়, ভোটকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করবে বলেও জানিয়েছে কমিশনের একটি সূত্র।

Advertisement

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জোটের বিপুল জয়ের পর থেকেই ভোটার সংখ্যায় গরমিল, ভূতুড়ে ভোটার এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। বিশেষত কংগ্রেস নেতৃত্বও এ নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলেন। সেই আবহে চলতি মাসের শুরুতেই রাহুল অভিযোগ করেন, গণতন্ত্রকে লুঠ করার ‘নীলনকশা’ তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্র নির্বাচনে। তাঁর দাবি, লোকসভা ভোটের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রায় ৪০ লক্ষ ভোটার বেড়ে গিয়েছে, যা সন্দেহজনক। এ ব্যাপারে তিনি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার দিকেই আঙুল তোলেন। শুধু তা-ই নয়, একই পদ্ধতিতে আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনেও বিরোধীদের হারানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে দাবি করেন রাহুল। সেই থেকেই নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত। রাহুল কেন এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করছেন না, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন কমিশনের কর্তারাও। তাঁরা বলেন, এত সংবেদনশীল ও গুরুতর অভিযোগ নিয়ে রাহুল কেন কমিশনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement