—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অমৃতসর থেকে বার্মিংহামগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের জরুরি যন্ত্র, ‘র্যাম এয়ার টার্বাইন’ (র্যাট) চালু হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিমানসংস্থার থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করল অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ামক সংস্থা (ডিজিসিএ)। শুধু তা-ই নয়, প্রভাবিত বিমানগুলির র্যাট পুনরায় পরীক্ষা করার কথাও বলা হয়েছে।
ডিজিসিএ-র এক আধিকারিক এ বিষয়ে বলেন, ‘‘কোনও নির্দেশ ছাড়াই (আনকমান্ডেড) বিমানের ‘র্যাট’ চালু হয়ে যাওয়ার ঘটনায় কী কী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, তা জানিয়ে বোয়িংকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ পাশাপাশি, বিমানের ‘পাওয়ার কন্ট্রোল মডিউল’ (পিসিএম) প্রতিস্থাপন সম্পর্কিত সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। ডিজিসিএ-র ওই কর্তা আরও জানিয়েছেন, বোয়িং ৭৮৭-র সমস্ত বিমানে যেখানে পিসিএম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, সেখানকার ‘র্যাট’ বা জরুরি যন্ত্র ঠিকঠাক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
গত ৪ অক্টোবর অমৃতসর থেকে রওনা দেওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১১৭ বিমান ব্রিটেনের বার্মিংহাম বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ‘র্যাম এয়ার টার্বাইন’ (র্যাট) চালু হয়ে গিয়েছিল। সাধারণত ইঞ্জিনের সমস্যা দেখা দিলে এটি চালু হয়। তবে ওই ঘটনার পরে উড়ান সংস্থা ‘র্যাট’ চালু হওয়ার বিষয়ে জানায়, বিমানে যান্ত্রিক সমস্যা ছিল না এবং পাইলটও সেটি চালু করেননি। কোনও নির্দেশ ছাড়াই (আনকমান্ডেড) বিমানের ‘র্যাট’ চালু হয়ে গিয়েছিল বলে জানায় উড়ান সংস্থা।
কেন ‘র্যাট’ চালু হয়ে গেল আচমকা, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই আবার এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং-৭৮৭ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কেন বার বার এই বোয়িংয়ে সমস্যা দেখা দেয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডিজিসিএ-কে চিঠি দেয় পাইলটদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলট্স’ (এফআইপি)। পাশাপাশি, অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডুকে চিঠি দেয় তারা। পাইলট সংগঠনের দাবি, এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার (বোয়িং-৭৮৭) বিমানগুলির উড়ান আপাতত বন্ধ রেখে সেগুলি যাচাই করে দেখা হোক।