ছবি: পিটিআই।
ভাইকে খুন করতে বিজেপি সাংসদ কমলেশ পাসোয়ানের বিরুদ্ধে ভাড়াটে গুন্ডা লাগানোর অভিযোগ তুললেন কাফিল খান। গত রবিবার গোরক্ষপুরে কাফিলের ভাই কাসিফ জামিলকে গুলি করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। আজ লখনউয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিআরডি মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন এই চিকিৎসক। এই ঘটনার তদন্তভার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
সাংবাদিক বৈঠকে কাফিল জানিয়েছেন, কমলেশ পাসোয়ানের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা ছিল না। তাঁর কাকার একটি জমি নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। গত ফেব্রুয়ারিতে সেই জমি দখল করে নেন বাঁসগাব কেন্দ্রের সাংসদ কমলেশ ও সতীশ নানগালিয়া নামে এক ব্যবসায়ী। এই নিয়ে এফআইআর দায়ের করে কাফিলের পরিবার। কিন্তু অভিযুক্তেরা চান তাঁদের গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ দিক হাইকোর্ট। তাঁদের চাপে রাখতেই কাসিফকে খুনের চেষ্টা করে পাসোয়ান। এর জন্য স্কুটি ভাড়া করেছিলেন তাঁরা।
কাসিফকে খুনের চেষ্টার তদন্তে গাফিলতির জন্য আজ রাজ্য পুলিশের দিকেও আঙুল তুলেছেন কাফিল। তিনি বলেন, ‘‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের ধরার আশ্বাস দিয়েছিল সরকার। এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও তদন্ত এগোয়নি। কেউ ধরাও পড়েনি। এটা স্পষ্ট যে পুলিশ কারোর নির্দেশে কাজ করছে। ’’ সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তা দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘আমি খুন হলে তার জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশই দায়ী থাকবে।’’ আগেই তিনি অভিযোগ করেছেন, গুলি লাগার পরে সময়মতো তাঁর ভাইয়ের চিকিৎসা শুরু করা হয়নি। আইনি অজুহাতে পুলিশ কাসিফের অস্ত্রোপচার কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখেছিল। আজ কাফিলের দাবি, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কাসিফকে খুনের চেষ্টা করা হল। যদিও পুলিশের বক্তব্য, কাসিফ জমি ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি জালিয়াতির মামলাও রয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই হামলা হয় তাঁর উপর।
গত বছর গোরক্ষপুরের হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দু’দিনে ৩৩টি শিশুর মৃত্যু হয়। বলা হয়, সেই সময় কাফিল নিজের টাকায় বাইরে থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে এনে বহু শিশুর প্রাণ বাঁচান। যদিও প্রাইভেট প্র্যাকটিস ও আরও নানা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তদন্ত শুরুর আগেই কাফিলকে সাসপেন্ড করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। জেলে যান কাফিল। আজ তিনি বলেছেন, ‘‘আমার পরিবার এখনও আতঙ্কে। আমরা সরকারের থেকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা চাই। ’’