US Tariff on India

ভারতের পণ্যে ৫০% শুল্কের পরেই মস্কোর সঙ্গে ইতিবাচক কথা! পুতিন-জ়েলেনস্কির সঙ্গে শীঘ্র বৈঠক, লাভ হল ট্রাম্পের?

পুতিন এবং জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। ভারতের উপর শুল্ক আরোপের পরেই কি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ১১:০৭
Share:

(বাঁ দিক থেকে) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ভারতের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপে কি লাভ হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের? রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামানোর যে চেষ্টা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে কি অগ্রগতি হবে এর ফলে? বৃহস্পতিবার সকালে (ভারতীয় সময়) তেমনটাই ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানালেন, রাশিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে ইতিবাচক কথাবার্তা হয়েছে তাঁর আধিকারিকদের এবং তা হয়েছে ভারতের উপর ‘জরিমানা’ আরোপ করার পরেই। আগামী সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্প বৈঠকে বসতে পারেন, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমরা ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছি। জানি না সেটাই কারণ কি না, তবে আজ রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হল।’’ যদিও মস্কোর তেল থেকে আদায়ীকৃত রাজস্বের উপর আরও নিষেধাজ্ঞার পথ খোলা রেখেছেন ট্রাম্প। এর আগে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্কের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই সময়েই রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, ভারত যদি রাশিয়া থেকে খনিজ তেল এবং অস্ত্র কেনা চালিয়ে যায়, তবে তাদের জরিমানা দিতে হবে। বুধবার হোয়াইট হাউস জানিয়ে দেয়, পূর্বের ২৫ শতাংশের সঙ্গে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক ভারতকে দিতে হবে আমেরিকায় পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে। নয়াদিল্লি-মস্কো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ তেল বাণিজ্য এই পদক্ষেপের কারণ।

আমেরিকার সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা করেছেন ট্রাম্প। পুতিন এবং জ়েলেনস্কির সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া, মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বুধবারই পুতিনের বৈঠক হয়েছে। ভারতের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের পর সেই বৈঠকে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে ইতিবাচক কথা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর রাতেই কঠোর বিবৃতি দিয়েছিল নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, ভারত জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করার চেষ্টা করছে। অনেক দেশই তা করে থাকে। তা সত্ত্বেও আমেরিকা শুল্ক আরোপের জন্য কেবল ভারতকে বেছে নিচ্ছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। ভারত এর প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। পরে ট্রাম্পকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। চিন-সহ একাধিক দেশ রাশিয়ার তেল কিনে থাকে। তাদের উপরেও কি একই ভাবে শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা? ট্রাম্প জবাবে বলেন, ‘‘হতেই পারে। আমি জানি না। এখনই সেটা বলতে পারছি না, কিন্তু হতেই পারে। ভারতের সঙ্গে করেছি। হয়তো আরও কিছু দেশের সঙ্গে করব। তাদের মধ্যে চিনও থাকতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement