তেজস যুদ্ধবিমান। —ফাইল চিত্র।
পোশাকি নাম, ‘এয়ারবোর্ন ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম’। আদতে, শত্রুসেনার রেডার জ্যামিং, রেডিয়ো যোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল করা এবং বৈদ্যুতিন যু্দ্ধ-ব্যবস্থা ‘ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম’কে অকার্যকর করে দেওয়ার এক অভিনব রক্ষাকবচ।
আমেরিকার ‘এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (অ্যাওয়াক্স)-এর অনুকরণে সেই রক্ষাকবচ তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)। আর তা বসানো হবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান নির্মাণ সংস্থা ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড’(হ্যাল)-এর তৈরি ‘তেজস মার্ক-১এ’ যুদ্ধবিমানে। ডিআরডিও-র তৈরি এই ‘এয়ারবোর্ন ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট’-এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বয়ং রক্ষাকবচ’।
এর আগে ডিআরডিও-র ‘কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট সিস্টেমস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন সেন্টার’-এর বিজ্ঞানীরা মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানে ব্যবহারের উপযোগী ‘ডি-২৯’ সিস্টেম বানিয়েছেন। এ বার ‘তেজস মার্ক-১এ’-র জন্য তাঁরা বানালেন ‘স্বয়ং রক্ষাকবচ’। কী ভাবে কাজ করে এই ব্যবস্থা? ডিআরডিও সূত্রের খবর, এই ব্যবস্থায় একটি বিমানবাহিত ‘ইন্টিগ্রেটেড রেডার ওয়ার্নিং রিসিভার’ রয়েছে। যা শত্রুর রেডারকে ‘জ্যাম’ করতে সক্ষম। এ ছাড়া ‘স্বয়ং রক্ষাকবচ’-এর রেডার শত্রুপক্ষের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত আগাম সতর্কতা দিতে সক্ষম।
অত্যাধুনিক এই নজরদারি ব্যবস্থার মূল কাজ হল, বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানগুলিকে নিখুঁত ভাবে ‘লক্ষ্য’ চিহ্নিত করতে সাহায্য করা। পাশাপাশি, শত্রুপক্ষের বিমানবাহিনীর তৎপরতার উপর নজরদারির কাজও করতে পারবে ‘স্বয়ং রক্ষাকবচ’ যুক্ত ‘তেজস মার্ক-১এ’ যুদ্ধবিমানগুলি। কিন্তু এয়ারবোর্ন ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম’ থাকার কারণে তেজস যু্দ্ধবিমানকে চিহ্নিত করতে পারবে না শত্রুপক্ষ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সফল পরীক্ষা হয়েছে ‘স্বয়ং রক্ষাকবচ’-এর।