Javelin Missile

ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ ট্যাঙ্কের ‘ঘাতক’ সেই জ্যাভলিন এ বার ভারতীয় সেনার ভাঁড়ারে, দিচ্ছে কোন দেশ?

‘জ্যাভলিন’-এর বিশেষত্ব হল, সামান্য প্রশিক্ষণের পরেই একজন মাত্র সৈনিকই এটিকে ব্যবহার করতে পারেন। এর একটি লঞ্চার রয়েছে, যেটি কাঁধে রেখে নিখুঁত লক্ষ্যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১২:০১
Share:

জ্যাভিলিন ক্ষেপণাস্ত্র। —ফাইল চিত্র।

শুল্ক-সংঘাতের আবহেই আমেরিকা থেকে ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র জ্যাভলিন কিনতে চলেছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে দাবি, জরুরি ক্রয় কর্মসূচির মাধ্যমে সেনাবাহিনী ১২টি লঞ্চার এবং ১০৪টি ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মন্ত্রীর ‘আত্মনির্ভরতা’র আহ্বানের পরিপন্থী কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই।

Advertisement

গত সাড়ে তিন বছরে ইউক্রেন যুদ্ধে বার বার নিজের জাত চিনিয়েছে আমেরিকার জ্যাভলিন। যার পোশাকি নাম ‘এফজিএম-১৪৮ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক জ্যাভলিন মিসাইল’। এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই পুতিনসেনার একের পর এক টি-৭২, টি-৯০ ট্যাঙ্ক উড়িয়েছে জ়েলেনস্কির ফৌজ। বস্তুত, জ্যাভিলিনের কারণেই রুশ আর্মার্ড ডিভিশনগুলির পক্ষে দ্রুত অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়নি। ১৯৮৯ সালে ‘জ্যাভলিন’-এর নকশা তৈরিতে হাত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রতিরক্ষা সংস্থার। সেগুলি হল, টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস, মার্কিন ম্যারিয়েটা (বর্তমান রেথিয়ন টেকনোলজ়িস) এবং লকহিড মার্টিন। তবে এর উৎপাদনের দায়িত্ব পায় শেষের দু’টি কোম্পানি।

‘জ্যাভলিন’-এর বিশেষত্ব হল, সামান্য প্রশিক্ষণের পরেই একজন মাত্র সৈনিক এটিকে ব্যবহার করতে পারেন। ক্ষেপণাস্ত্রটির একটি লঞ্চার রয়েছে, যেটি কাঁধে রেখে নিখুঁত লক্ষ্যে ‘জ্যাভলিন’কে ছোড়া যায়। ঠিক যেমন ছোড়া যায় আমেরিকারই তৈরি ‘শোল্ডার ফায়ার্‌ড’ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্ট্রিংগার। ‘জ্যাভলিন’-এর ওজন আনুমানিক ২৩ কেজি। বহন করতে পারে সাড়ে আট কেজি বিস্ফোরক। এর লঞ্চার সাধারণত ৬.৪ কেজির হয়ে থাকে। ২,৫০০ মিটার পাল্লার এই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ধীর গতিতে ওড়া হেলিকপ্টার ধ্বংস করতেও পটু। এক-একটি মার্কিন ‘জ্যাভলিন’-এর দাম প্রায় দু’লক্ষ ডলার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement