নিষেধাজ্ঞা ছিল আগেই। কিন্তু তা মানা হত নামেমাত্র। অভিযোগের মাত্রা বাড়তে থাকায় এ বার প্রকাশ্যে মদ্যপান ঠেকাতে আরও কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিল গোয়ার বিজেপি সরকার। যার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে গোয়ার সমুদ্রতটে প্রকাশ্যে মদ্যপান পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে অবশ্য মূল সমস্যা ছিল ভাঙা কাচের টুকরো। বালিতে গেঁথে থাকা সেই কাচের টুকরোতে মাঝে মধ্যেই পা কেটে যায় পর্যটকদের। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সমুদ্রতটে মদ্যপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করল উত্তর গোয়া প্রশাসন। বুধবার স্থানীয় পুলিশ জানায়, এ বার থেকে সমুদ্রতটে মদ্যপান করলে জরিমানা এমনকী জেলও হতে পারে।
আরও পড়ুন: অত্যাচারী স্বামীকে তালাক দিতে থানার দ্বারস্থ স্ত্রী
গোয়ায় বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রতটে বিচ স্পোর্টসের পাশাপাশি মদ্যপান করাও পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অনেকে মদ্যপান করে সেখানেই কাচের বোতল ভেঙে ফেলেন। সেই কাচের টুকরোগুলো গেঁথে থাকে বালির মধ্যে। যা থেকে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, বহুদিন ধরেই এই সংক্রান্ত প্রচুর অভিযোগ উঠছিল। শুধু বালিতে আটকে থাকা কাচই নয়, সমুদ্রে স্নান করার সময়ও ভাঙা কাচের টুকরোতে হাত-পা কেটে যায় অনেকের। এই সমস্যা দূর করতেই মদ্যপান নিষিদ্ধ করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন গোয়ার পুলিশ সুপার কার্তিক কাশ্যপ।
কাশ্যপ জানান, এ বার থেকে কেউ সমুদ্রতটে মদ্যপান করলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। পাশাপাশি কেউ পাবলিক প্লেসে মদ্যপান করলেও এই একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কার্তিক।