কাজিরাঙা থেকে ফের মানস জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হচ্ছে ইস্টার্ন সোয়াম্প ডিয়ার বা বারাশিঙা। অসমের বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম জানান, পরের বছর মার্চের মধ্যে বারাশিঙা প্রতিস্থাপনের দ্বিতীয় পর্যায় সম্পন্ন হবে।
কাজিরাঙায় এখন প্রায় হাজার খানেক বারাশিঙা। পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে একমাত্র কাজিরাঙাই বারাশিঙার স্বাভাবিক আবাসভূমি। বারাশিঙা প্রজাতির রক্ষায় বিশেষ সংরক্ষণ প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে। এই বছর কাজিরাঙায় হরিণ সুমারির পরে দেখা যায় গত বছরের তুলনায় ১৯টি বারাশিঙা বেড়েছে। এখন ১১৪৮টি হরিণ আছে। তার মধ্যে ২৮৪টি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, ৬০৫টি স্ত্রী হরিণ। বাকিরা শাবক। বারাশিঙার আবাস বাড়াতে, বন্যার ধাক্কায় বারাশিঙার বংশলোপ থামাতে ২০১৪ সালে প্রথমে ১৯টি হরিণকে মানস জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে তিনটি পুরুষ ও ১৬টি স্ত্রী। প্রমীলারানি জানান, পরে বারাশিঙাদের মানস নিয়ে যাওয়ার জন্য শণাক্তকরণ ও এলাকা নির্বাচনের কাজ শুরু হবে।
এ দিকে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হাতির আক্রমণ অব্যাহত। নগাঁও জেলার পুরণিগুদামের বাসিন্দারা নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছেন। গত রাতে হাতিরা অনেকগুলি বাড়ি ভাঙে। ভেঙেছে ধানের গোলাও। হাতির বিরাট পাল সেখানে ঘুরছে। এরই পাশাপাশি, শিবসাগরের ডিমৌয়ে হাতির দল একাধিক ভাড়ি ভেঙেছে। কামরূপের বকোয় ডাকুয়াপাড়া, দাখেলিপাড়াতেও গত রাতে হাতির পাল আটটি বাড়ি ভেঙেছে।