ED

গার্ডেনরিচে ‘সেঞ্চুরি’ ইডির! তিন মাসে উদ্ধারের রেকর্ড, এত টাকা কোথায় থাকবে, কী হবে তার নিয়মও নির্দিষ্ট

ইডি এই টাকা বাজেয়াপ্ত করলেও তা নিজেদের দফতরে রাখতে পারে না। অভিযানে নেমে নগদ উদ্ধারের পর অভিযুক্তকে টাকার উৎস বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। সদুত্তর দিতে না পারলে ওই টাকা হিসাব-বহির্ভূত ধরা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:২৬
Share:

গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার হয়েছে। নিজস্ব ছবি

গত তিন মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ১০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। শনিবার কলকাতায় তল্লাশি অভিযানে নেমে ১৭ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার হয়েছে। আর তাতেই ‘সেঞ্চুরি’ হয়ে গিয়েছে ইডির। কেন্দ্রীয় সংস্থার অনেকের দাবি, এত কম সময়ে এত নগদ উদ্ধার ইদানীংকালে হয়নি। এখন প্রশ্ন, এ সব টাকা এখন কী করা হবে? নিয়ম কী বলছে?

Advertisement

শনিবার সকাল থেকে গার্ডেনরিচ-সহ কলকাতার তিন জায়গায় তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার করেছে ইডি।

অগস্টে এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। তাঁকে জেরার সূত্রে ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৫০ কোটির বেশি নগদ টাকা উদ্ধার করে ইডি। তার দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ড খনি দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তে নেমে ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি।

Advertisement

এই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকার কী হবে? ইডি এই টাকা বাজেয়াপ্ত করলেও তা নিজেদের দফতরে রাখতে পারে না। অভিযানে নেমে নগদ উদ্ধারের পর অভিযুক্তকে টাকার উৎস বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। অভিযুক্ত সদুত্তর দিতে না পারলে ওই টাকা হিসাব-বহির্ভূত এবং অবৈধ বলে ধরে নেওয়া হয়।

টাকা নয়ছয় প্রতিরোধী আইন (পিএমএলএ)-এ উদ্ধার হওয়া নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। তা গোনার জন্য ডাক পড়ে স্টেট ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের। টাকা গোনার যন্ত্র দিয়ে গোনা হয় নোট। এর পর ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসের তালিকা তৈরি করা হয়। কোন মূল্যের ক’টি নোট রয়েছে, তা-ও গুনে লিখে রাখা হয়। এর পর নোট বাক্সে ভরে সিল করা হয়। সেই বাক্সবন্দি নোট চলে যায় স্টেট ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কোনও শাখায়। ব্যক্তিগত আমানতে (পিডি) জমা পড়ে ওই টাকা।

ব্যাঙ্ক থেকে সেই নগদ কেন্দ্রীয় সরকারের কোষাগারে জমা করা হয়। যদিও সরকার, ইডি বা ব্যাঙ্ক এই উদ্ধার হওয়া নগদ ব্যবহার করতে পারে না। ইডি প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্ট অর্ডার তৈরি করে। বিচারবিভাগ পরবর্তী ছ’মাসের মধ্যে সেই অ্যাটাচমেন্ট অনুমোদন করে। এর পর শুনানি চলা পর্যন্ত ব্যাঙ্কের অধীনে থাকে টাকা। অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হলে নগদ কেন্দ্রের হাতে চলে আসে। অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেলে তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হয় বাজেয়াপ্ত নগদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন