Bihar SIR Row

বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলি কোনও অভিযোগ জমা দেয়নি! বিবৃতি নির্বাচন কমিশনের

গত ১ অগস্ট বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। কমিশন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ওই খসড়া তালিকা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে, তা কমিশনকে জানাতে পারে। তবে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দল থেকেই অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৫ ১১:২৮
Share:

ভোটার তালিকা। —ফাইল চিত্র।

বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকে এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে গত এক সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলির তরফে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি নির্বাচন কমিশনের দফতরে। শুক্রবার সকালে এক বিবৃতিতে এমনটাই জানাল কমিশন। যদিও ব্যক্তিগত স্তরে অনেক ভোটারই নিজেদের অভিযোগের কথা জানিয়েছেন কমিশনে।

Advertisement

বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ধারাবাহিক ভাবে প্রশ্ন তুলে যাচ্ছে। সংসদের ভিতরে বার বার এ বিষয়ে হট্টগোল হয়েছে। বিক্ষোভ হয়েছে সংসদের বাইরেও। বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ এবং নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে কেন্দ্রের উপর চাপ বৃদ্ধি করছেন বিরোধীরা। তবে কমিশনের দাবি, বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকে কোনও রাজনৈতিক দলই তাদের কাছে কোনও অভিযোগ জানায়নি।

গত ১ অগস্ট বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। কমিশন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ওই খসড়া তালিকা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে, তা কমিশনকে জানাতে পারে। তবে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দল থেকেই অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছে তারা। কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলেই বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ) রয়েছেন। কোন রাজনৈতিক দলের কত জন বিএলএ আছেন, সেই তথ্যও প্রকাশ করেছে কমিশন।

Advertisement

বিহারে কমিশনের এই কাজের জন্য কংগ্রেসের ১৭,৫৪৯ জন বিএলএ রয়েছেন। আরজেডি-র রয়েছেন ৪৭,৫০৬ জন বিএলও। একই রকম ভাবে বিজেপির ৫৩ হাজারের বেশি এবং জেডিইউয়ের প্রায় সাড়ে ৩৬ হাজার বিএলএ রয়েছেন। আঞ্চলিক এবং জাতীয় দলগুলি মিলিয়ে বিহারে মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮১৩ জন বিএলও আছেন। তবে শাসক বা বিরোধী কোনও পক্ষ থেকেই কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। যদিও ব্যক্তিগত স্তরে ভোটারদের তরফে ৬,২৫৭টি অভিযোগ গিয়েছে কমিশনের কাছে। গত এক সপ্তাহে সেগুলির কোনওটিরই নিষ্পত্তি হয়নি।

বস্তুত, বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৬৫ লক্ষের বেশি নাম। কমিশন ইতিমধ্যে জানিয়েছে, মৃত, স্থায়ী ভাবে অন্যত্র চলে যাওয়া ব্যক্তিদের এবং একাধিক ঠিকানার ভোটার তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ভোটার তালিকায় প্রায় ৭ কোটি ৯০ লক্ষ নাম ছিল। এসআইআর পর্বের পরে খসড়া তালিকায় তা কমে ৭ কোটি ২৪ লক্ষে নেমে এসেছে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। ওই তালিকায় নাম সংযোজন এবং বাদ দেওয়া সংক্রান্ত আবেদনের জন্য এক মাস সময় দিয়েছে কমিশন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলি এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য কমিশনকে জানাতে পারবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement