— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভোর থেকে ফের গুলির লড়াই শুরু হল জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ে। সোমবার রাতভর দু’পক্ষে সংঘর্ষ চলার পর মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে পা রাখল নিরাপত্তাবাহিনীর ‘অপারেশন গুদার’। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তাবাহিনীর দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। একজন গুরুতর জখম। অন্য দিকে, জঙ্গিদের তরফে এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
ভারতীয় সেনার চিনার কোরের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে সুবেদার পর্বত গৌর এবং ল্যান্সনায়েক নরেন্দ্র সিন্ধুর। এ ছাড়াও আর এক সেনাকর্মী জখম হয়েছেন। তবে এতে দমেনি নিরাপত্তাবাহিনী। ওই এলাকায় আরও কেউ লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্তও অভিযান চলছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে ফের দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁও জেলার গুদারের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে পুলিশ ও সেনার যৌথ দল। গোপন সূত্রে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে সোমবারই ওই অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সে সময় আচমকা সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি ছোড়েন জওয়ানেরাও। এতে সোমবার সকালেই এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। বিকেলের দিকে জানা যায়, নিহত জঙ্গি পাকিস্তানের নাগরিক, তার নাম ‘রহমান ভাই’। রাতে মৃত্যু হয় আর এক স্থানীয় জঙ্গির।
পহেলগাঁও কাণ্ড এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর এলাকায় নজরদারি আরও বেড়েছে। কাশ্মীরের কোথাও জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খুঁজে বার করতে উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় অভিযান চালানো হচ্ছে। গত জুলাই মাসেই শ্রীনগরে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলায় জড়িত তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। অগস্টের শুরুতে কুলগাঁওয়ের অখল জঙ্গলে ‘অপারেশন অখল’ শুরু করে ভারতীয় সেনা। তাতে মৃত্যু হয় ছয় জঙ্গির। সেই ঘটনার পর মাসখানেক পেরোতে না পেরোতেই ফের জঙ্গিডেরার খোঁজ মিলল কুলগাঁওয়ে।