প্রতীকী ছবি।
কখনও দৌড়চ্ছেন আদালতে, কখনও বা ছুটে যাচ্ছেন পুলিশের কাছে। ‘অপহৃত’ ছেলেকে উদ্ধার করে আনতে সোনারপুরের রানা ঘোষের রোজনামচা এখন এটাই। গত ২৬ জানুয়ারি থেকে রানাবাবুর পাঁচ বছরের ছেলে আরুষের খোঁজ নেই। এবং অন্য কেউ নয়, রানাবাবুর প্রাক্তন স্ত্রীই ছেলেটিকে অপহরণ করে বাংলা ছেড়েছেন বলে অভিযোগ!
রানাবাবুর আইনজীবী দেবরাজ মল্লিক জানান, বিবাহবিচ্ছেদের পরে তাঁর মক্কেল আদালতের নির্দেশেই ছেলের হেফাজত পেয়েছিলেন। অভিযোগ, গত ২৬ জানুয়ারি ছেলের সঙ্গে দেখা করার ছুতোয় তাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন রানাবাবুর স্ত্রী জয়া কুণ্ডু। তার পরে তিনি এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে সটান হায়দরাবাদে পালিয়ে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ছেলের খোঁজ না-পেয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আলিপুর জেলা আদালতে অভিযোগ জানান রানাবাবু। বিচারক নির্দেশ দেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সন্তান-সহ অভিযুক্ত মহিলাকে কোর্টে হাজির হতে হবে।
কিন্তু আদালত সূত্রের খবর, নির্দেশ সত্ত্বেও জয়াদেবী এ দিন আলিপুর জেলা আদালতের বিচারকের সামনে হাজির হননি। তবে রানাবাবুর আইনজীবী সুদীপ্তা মজুমদার ও দেবরাজ মল্লিক আদালতে সওয়াল করেন এবং জয়াদেবীর মানসিক বিকৃতি রয়েছে বলে দাবি করে কিছু নথিপত্র জমা দেন। দেবরাজবাবু পরে জানান, অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানোর জন্য এ দিন সোনারপুর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
রানাবাবুর অভিযোগ, সন্তানকে অপহরণের পরে সোনারপুর থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ তৎপর হয়নি। নানা ভাবে হেনস্থার পরে নিতান্ত দায়সারা ভাবে একটি এফআইআর করেই ছেড়ে দেওয়া হয়। দেবরাজবাবু জানান, পুলিশ এ বার আদালতের নির্দেশ পালন না-করলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হবে। এমনকি, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টেরও দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভেবেছেন।
বক্তব্য জানতে জয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল। মোবাইলে পাঠানো বার্তারও জবাব মেলেনি।