বাহিনীর বিস্ফোরক যাচ্ছে জঙ্গি হাতে, দাবি এনএসজি-র

দেশের বেশ কিছু এলাকায় জঙ্গিরা জনসমর্থন পাচ্ছে বলে জানাল কম্যান্ডো বাহিনী এনএসজি। কারণ, দেশেরই অস্ত্র কারখানায় তৈরি বিস্ফোরক-গ্রেনেড জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। সমর্থনের শিকড় অনেক গভীরে বলেই জঙ্গিরা বাহিনীর জন্য তৈরি গোলাবারুদ হাতে পাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে এনএসজি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:০৫
Share:

দেশের বেশ কিছু এলাকায় জঙ্গিরা জনসমর্থন পাচ্ছে বলে জানাল কম্যান্ডো বাহিনী এনএসজি। কারণ, দেশেরই অস্ত্র কারখানায় তৈরি বিস্ফোরক-গ্রেনেড জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। সমর্থনের শিকড় অনেক গভীরে বলেই জঙ্গিরা বাহিনীর জন্য তৈরি গোলাবারুদ হাতে পাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে এনএসজি। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস ও অশান্তি নিয়ে যখন বিপাকে নরেন্দ্র মোদী সরকার তখন এই রিপোর্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

দেশে বিস্ফোরণের ও হামলার ঘটনা বিশ্লেষণ করে এনএসজি-র ন্যাশনাল বম্ব ডেটা সেন্টার (এনবিডিসি)। তারা ওই রিপোর্টে জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও নিশানা করে জঙ্গিরা। কিন্তু কিছু এলাকায় তারা মানুষের একাংশের সমর্থনও পায়। এই সমর্থন বন্ধ না হলে জঙ্গি হানা রোখা মুশকিল। কী ভাবে এনবিডিসি এই তথ্য পেল তা রিপোর্টে উল্লেখ করা নেই। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, হামলা সংক্রান্ত খবর এনবিডিসি-কে জানায় রাজ্য পুলিশ ও অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। তারাই এই তথ্য সরবরাহ করেছে।

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে আইইডি উদ্ধার ও হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখেছে এনবিডিসি। তাদের মতে, জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্বে বেশির ভাগ ঘটনায় অস্ত্র কারখানায় তৈরি গ্রেনেড ও অন্য বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে জঙ্গিরা। কাশ্মীরে অনেক ক্ষেত্রে চিনা গ্রেনেডও ব্যবহার হয়েছে। সমর্থকদের মাধ্যমেই এই বিস্ফোরক জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আইইডি বা স্বল্প ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক দিয়ে হামলার ক্ষেত্রে মাওবাদী উপদ্রুত রাজ্যগুলির অবস্থাই এখনও সবচেয়ে খারাপ বলে জানিয়েছে এনবিডিসি। তাদের মধ্যে সব চেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ছত্তীসগঢ়ের।

এনবিডিসি-র মতে, আইইডি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার অভিযান শুরু করা উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন