প্রতীকী ছবি-
তাকে ধর্ষণ করেছে বাবা, এমন গুরুতর অভিযোগ এনেছিল মেয়ে। মুম্বইয়ের ঠানেতে ২০১৩ সালের অগস্ট মাসের ঘটনা। মেয়ে তখন নাবালিকা। বয়স ১৬ বছর। প্রতি রাতে মা-বাবার সঙ্গেই সে ঘুমতো। অভিযোগ ছিল, ঘুমনোর সময়ে তার বাবা অশালীনভাবে তার গায়ে হাত দিত। বেশ কয়েক বার নিজের বাবা নাকি তাকে ধর্ষণও করেছিল।
এই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই নাবালিকার দিনমজুর বাবাকে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো (শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন বিরোধী) আইনে মামলা দায়ের করা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর আদালতে মামলা চলার পরে অবশেষে মুক্তি পেলেন সেই অভিযুক্ত বাবা। এবং চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিল মেয়ে।
আরও পড়ুন: চার সাংবাদিককে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা পাম্পকর্মীদের
জবানবন্দি দেওয়ার সময়েই ওই নাবালিকা স্বীকার করে নেয়, বাবার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল। আর প্রতিশোধ নিতেই নিজের বাবার বিরুদ্ধে এমন বীভৎস অভিযোগ এনেছিল সে। বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার পরেই ওই নাবালিকার বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব দেখালেন ঠানে আদালতের বিচারক। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, আইনের অপব্যবহারের জন্য নাবালিকা হলেও ওই মেয়েটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দেশে আদালত বলে, ‘‘অভিযোগকারিণী যে পকসো আইনের অপব্যবহার করেছে, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই মিথ্যে অভিযোগের জন্য তার বাবাকে তিন বছরের বেশি জেলও খাটতে হয়েছে। মানসিক যন্ত্রণা, ট্রমার শিকার হতে হয়েছে।” এই ধরনের মিথ্যে অভিযোগ যাতে ভবিষ্যতে কেউ না করতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই অভিযোগকারিনীর বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব দেখাল ঠানের আদালত।
ওই অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে ঠানে আদালত। তার বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের আইন অনুযায়ী ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯১ ধারায় মামলায় দায়ের করা হতে পারে। এবং প্রায় ৭ বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে তার। তবে, অভিযোগ করার সময় অভিযোগকারিণী যেহেতু নাবালিকা ছিল, সে দিকটাও বিচার করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। ওই অভিযোগকারিণীর কী শাস্তি হয়, এখন সেটাই দেখার।