(বাঁ দিকে) নববধূ সোনম এবং তাঁর স্বামী রাজা রঘুবংশী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
আস্থা নেই মেঘালয় সরকারের তদন্তে, তাই মধুচন্দ্রিমায় চেরাপুঞ্জি এসে ইনদওরের যুব-ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর রহস্যমৃত্যু ও তাঁর নববিবাহিতা স্ত্রী সোনমের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠাল মধ্যপ্রদেশের রঘুবংশী পরিবার। ২৩ মে চেরাপুঞ্জি থেকে নিখোঁজ হন তাঁরা। ২ মে ওয়েই সাওডং জলপ্রপাতের ১০০ ফুট নীচের খাদে উদ্ধার হয়েছিল রাজার দেহ। কাছেই মেলে স্থানীয় দা-ও। উদ্ধার হয়েছে স্ত্রী সোনমের জামা, বর্ষাতি।
ময়নাতদন্তের পরে ৪ মে রাতে ইনদওরে রাজার অন্ত্যেষ্টি হয়। অন্ত্যেষ্টিস্থলেও পোস্টার লাগানো হয়, ‘আমি নিজে মরিনি, আমাকে মারা হয়েছে।’ ভাই বিপুল রঘুবংশী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে সিবিআই তদন্তের অনুরোধ করে চিঠি লিখেছি। মেঘালয় পুলিশ যে ভাবে কাজ করছে, তাতে রাজার হত্যার ন্যায়বিচার বা সোনমের সন্ধান পাওয়ার আশা কম। পুলিশ ধরেই নিয়েছে সোনম মারা গিয়েছে, তাই বিভিন্ন খাদে তাঁর দেহ খোঁজা হচ্ছে। কিন্তু তাঁকে অপহরণ করা হতে পারে।’’ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানান, সন্ধান অব্যাহত রয়েছে। সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে তাঁর আপত্তি নেই।
সোনমের ভাই গোবিন্দ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘পুলিশ প্রথমে হত্যার কথা অস্বীকার করলেও পরে চাপে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করেছে। আমাদের মনে হয় সোনমকে অপহরণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটলে রাজা পড়ে যেতে পারেন, সোনমও একই সঙ্গে কী ভাবে পড়বেন?’’ তাঁর আরও যুক্তি, রাজার দেহের পাশে সোনমের জামা পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু রাজার দুটি আংটি, ব্রেসলেট, নেকলেস, মানিব্যাগ নেই। সোনমের দুটি মোবাইল ফোন এবং হ্যান্ডব্যাগও উধাও।
পুলিশ অবশ্য জানায়, নবদম্পতির মোবাইল ফোনের সর্বশেষ টাওয়ার লোকেশনেই রাজার মৃতদেহ মিলেছে। ওই জলপ্রপাত গত ২ বছর ধরে বন্ধ। পর্যটক যান না। গোবিন্দ বলেন, ‘‘যদি তাই হবে, তা হলে ২০০ ফুট গভীর খাদে ভর্তি আবর্জনা কী ভাবে এল?’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে