Faridabad

ফরিদাবাদে ‘লভ জিহাদ’, ভরদুপুরে কলেজের সামনেই তরুণীকে গুলি করে খুন

নিকিতার এক আত্মীয় জানান, ২০১৮ সালে তাঁরা তৌসিফের বিরুদ্ধে নিকিতাকে অপহরণের মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ফরিদাবাদ শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৩২
Share:

টুইটারের ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি।

তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা। বাধা দেওয়ায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি। ফরিদাবাদের বল্লভগড়ে সোমবার ভরদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় এমন ভয়াবহ ঘটনায় শিউরে উঠেছেন অনেকেই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি কলেজ পড়ুয়া তরুণী নিকিতা তোমরকে। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে মূল অভিযুক্ত তৌসিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, ‘লভ জিহাদ’-এর বলি হয়েছেন নিকিতা। তাঁদের বক্তব্য, প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই মরিয়া হয়ে গুলি করে খুন করেছে অভিযুক্ত তৌসিফ। ঘটনার প্রতিবাদে ফরিদাবাদ-মথুরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হরিয়ানা সরকার।

Advertisement

ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, নিহত নিকিতা অন্য এক তরুণীর সঙ্গে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। একটি গাড়ি থেকে দুই যুবক নেমে এক জন তাঁকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন। তরুণী প্রাণপণ চেষ্টা করছেন পালানোর। হাত ধরে টানাটানি, ধস্তাধস্তির মধ্যেই আচমকা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে দেয় ওই যুবক। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন নিকিতা। দৌড়ে গাড়িতে উঠে পালিয়ে যান দু’জন।

পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষা দিতে কলেজে গিয়েছিলেন নিকিতা। সেখান থেকে ফেরার পথেই এই হামলা। নিকিতাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তৌসিফকে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। বল্লভগড়ের এসিপি জয়বীর সিংহ রাঠি জানিয়েছেন, তৌসিফ নামে এক অভিযুক্তকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তৌসিফের বাড়ি মেওয়াট এলাকায়। অভিযুক্তদের এক জনের সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় ছিল তরুণীর।

Advertisement

আরও পড়ুন: এলাহাবাদ হাইকোর্টের নজরদারিতে হাথরস তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

আগে থেকে নিকিতার সঙ্গে তৌসিফের আলাপ ছিল বলে জানাচ্ছেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরাও। নিকিতার এক আত্মীয় জানান, ২০১৮ সালে তাঁরা তৌসিফের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেছিলেন। তবে পরে বিষয়টি মিটে যায় বলে মামলা আর এগোয়নি। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে ওই অভিযোগ দায়ের হলেও তখন পরিবারের লোকজন কোনও ব্যবস্থা নিতে নিষেধ করেন। তবে নতুন করে অভিযোগ দায়ের হতেই তৌসিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে মাদ্রাসায় বড়সড় বিস্ফোরণ, নিহত শিশু-সহ ৭, আহত ৭০

অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির আর্জি জানিয়েছেন নিকিতার মা। তাঁর বক্তব্য, তৌসিফকে এনকাউন্টার না করা পর্যন্ত মেয়ের মৃতদেহ দাহ করবেন না তাঁরা। এলাকাবাসীও এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারা একটি দোকানে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন। রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন নিকিতার পরিবারের সদস্যরাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন