পুর ও পঞ্চায়েত ভোটে অংশ না-নেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন। ৩৫এ এবং ৩৭০ ধারা নিয়ে এ বার লোকসভা ভোট বয়কটেরও হুমকি দিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক শনিবার বলেন, ‘‘৩৫এ এবং ৩৭০ ধারা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুক। তা না-হলে বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটও বয়কট করব আমরা।’’ ফারুকের মতে, ৩৫এ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র যে ভূমিকা নিয়েছে তা কাশ্মীরিদের চাহিদার পরিপন্থী। পঞ্চায়েত ভোটের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে তাড়াহুড়ো করে। পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে মেহবুবা মুফতির পিডিপি-ও জানিয়েছে, উপত্যকায় ভোটের পরিবেশ নেই। ফারুক বলেন, ‘‘কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা ভয় পেয়েছেন বলে গুজব রটছে। এর ফলে ধর্মীয় অশান্তিই ছড়াবে।’’
৩৫এ ধারা মোতাবেক বহিরাগতদের জম্মু-কাশ্মীরে সম্পত্তি কেনার অধিকার নেই। ৩৭০ ধারা আলাদা সংবিধান, পতাকা এবং জাতীয় নিরাপত্তা বাদে অন্যান্য ক্ষেত্রে নিজস্ব আইনের অধিকার দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকে। বিজেপি বরাবরই ৩৭০ তুলে দেওয়ার পক্ষে। ৩৫এ-র বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। তা নিয়ে উপত্যকা উত্তপ্ত ছিলই। ইতিমধ্যে অক্টোবরের গোড়ায় পুর ও পঞ্চায়েত ভোট করানোর পরিকল্পনা করে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। এই আবহে ৩৫এ নিয়ে রায় দেওয়া হলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানায় জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। তাদের আর্জির ভিত্তিতে ৩৫এ মামলার শুনানি জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
ফারুকের মতে, জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের জন্য ভারত-পাকিস্তানের মৈত্রী জরুরি। ইমরান খানের শপথে গিয়ে বিজেপির কটাক্ষের নিশানা হওয়া নভজোৎ সিংহ সিধুর পাশেও দাঁড়ান তিনি। বলেন, ‘‘ভারত ও পাকিস্তান, দু’দেশেই কায়েমি স্বার্থ রয়েছে। যে ভাবে সিধুকে নিশানা করা হয়েছে তাতে বোঝা যায়, কিছু লোক ভারত-পাকিস্তানের বন্ধুত্ব চায় না।’’