গনগনে কয়লার আগুনের উপর দিয়ে হাঁটছিলেন বাবা। কোলে আট বছরের ছোট্ট ছেলে। কিন্তু, মাঝপথেই কোনও ভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। কোল থেকে ছেলে পড়ে যায় ওই আগুনের গর্ভে। তিনিও টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান তপ্ত ওই কয়লার মধ্যেই।
তাঁদের সামনে-পিছনে হেঁটে চলা কয়েক জন কোনও ক্রমে উদ্ধার করেন বাবা-ছেলেকে। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যান হাসপাতালে। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন বাবার শরীর ১৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে, আর ছেলে কার্তিকের শরীর পুড়ে গিয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। সংস্কার মানতে গিয়ে প্রাণটাই চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তাঁদের।
কী হয়েছিল?
পঞ্জাবের জলন্ধরে এই সময়টায় কাজি মান্ডিতে মা মারিয়াম্মার উত্সব চলে। সেই উপলক্ষে গোটা দেশ থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী আসেন। তলায় রাখা গনগনে কয়লার আগুনের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়াটাই এই অনুষ্ঠানে প্রথা। আট থেকে আশি— সকলেই ওই সংস্কার মেনে চলেন। সেই মতো কার্তিক এবং তার বাবাও আগুনের উপর দিয়ে হাঁটছিলেন। নিয়ম মতো আগুনের উপর দিয়ে হাঁটার আগের সাত দিন উপোস থাকতে হয়। বাবা-ছেলে সেই রীতিও মেনেছিলেন। চিকিত্সকদের মতে, বেশ কয়েক দিন না খাওয়ার ফলেই শারীরিক ভাবে দুর্বলহয়ে পড়েন বাবা। আর তার ফলেই আগুনে পা দেওয়ার পর তিনি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
বছর তিনেক আগে তার মায়ের কোল থেকে একই রকম ভাবে আগুনের ভেতরে পড়ে গিয়েছিল এক শিশু কন্যা। অবিশ্বাস্য ভাবে সে-ও বেঁচে গিয়েছিল।