প্রতীকী ছবি।
তাঁকে বদলি করা হতে পারে। এই আশঙ্কা করে আতঙ্কিত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক পঞ্চায়েত আধিকারিক। ঘটনাটি কর্নাটকের। ঘটনাচক্রে, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি আবার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিধানসভা এলাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই আধিকারিকের নাম দিব্যা। তিনি পঞ্চায়েত অফিসের ‘এ’ গ্রেড আধিকারিক। অফিসে বসেই তিনি একসঙ্গে ১৫টি ব্যথার ওষুধ, জ্বরের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অফিসেই তিনি জ্ঞান হারান। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত চিকিৎসাধীন।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত দু’বছর ধরে বরুণ পঞ্চায়েত অফিসে কাজ করছেন। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরেই একটা মানসিক চাপে ছিলেন দিব্যা। কারণ, স্থানীয় সূত্রের দাবি, অন্য এক পঞ্চায়েতে তাঁরই পদমর্যাদার এক আধিকারিক বরুণ পঞ্চায়েতে বদলি নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই খবর পাওয়ার পর থেকেই বদলি হওয়ার আতঙ্কে ভুগতে থাকেন দিব্যা। পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, ওই আধিকারিকের ওঠাবসা শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে। ফলে সেই সুযোগ নিয়ে দিব্যাকে বরুণ পঞ্চায়েত থেকে সরানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
তা ছাড়া গত ২০ নভেম্বর বরুণ পঞ্চায়েত অফিসে ঝটিকা পরিদর্শনে আসেন এক প্রশাসনের শীর্ষকর্তা। দিব্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, দিব্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি ঠিকমতো কাজ করছেন না। ফলে পুরনো অনেক কাজ জামা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যেরা দিব্যাকেই সমর্থন করে তাঁর পাশে দাঁড়ান। এই ঘটনায় আরও বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন দিব্যা। তার পরই একসঙ্গে ১৫টা ওষুধ খেয়ে ফেলেন অফিসে বসেই। ঘটনাচক্রে, এই বরুণ পঞ্চায়েত মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। তাঁর বিধানসভা এলাকায় এক প্রশাসনিক আধিকারিক অফিসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, এই খবর প্রকাশ্যে আসতে হুলস্থুল পড়ে যায়।